অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

সয়াবিন চাষ

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, আমিষ, ক্যালোরি, খাদ্যপ্রাণ এবং খনিজ পদার্থের অভাবে আমাদের নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের শিকার হতে হয়। যেমন, দৈহিক গঠনে, বুদ্ধিতে, ক্ষয়পূরণে, শক্তি সঞ্চয়ে। সর্বোপরি বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার মানুষের জন্য অপরিহার্য। বর্তমানে আমিষ জাতীয় খাবারের বাজার মূল্য অনেক বেশি। যা গরিব মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আবার প্রাণীজ আমিষের উৎস মাছ, মাংস, ডিম, দুধ আমিষের চেয়েও ব্যয়বহুল। এক সময় ডালের দাম ছিল কম। গরিব মানুষই ডাল খেত। এই জন্য ডালকে গরিবের মাংস বলা হত। কিন্তু এখন ডালের উচ্চমূল্যের কারণে গরিবরা ডাল খাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে অপুষ্টি। তারা নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের শিকার হচ্ছে। আমরা আমাদের এই পুষ্টির অভাব অনেকটাই মেটাতে পারি সয়াবিনের চাষ করে। সয়াবিন আমিষ এবং তেল সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর ফসল। সয়াবিনে আমিষের পরিমাণ অন্য যেকোন খাদ্যশস্য থেকে বেশি থাকে। ডাল জাতীয় অন্যান্য ফসল থেকেও এর পুষ্টিমান দিগুণ এবং বাজারে সবচেয়ে সস্থা- খেশারী ডালের দামের অর্ধেক। তেল সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে সয়াবিন ক্যালোরি ঘাটতি মেটাতে সক্ষম। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া এবং পরিবেশ সয়াবিন চাষের জন্য উপযোগী। সয়াবিনের ভাজা ডাল এবং খিচুরী অত্যন্ত- পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও রুচিকর।

বাজারে সাধারণত যেসব ডাল পাওয়া যায়, তার চেয়ে সয়া ডালে আমিষের পরিমাণ অনেক বেশি। সয়াবিন ভাত বা রুটির সাথে খেলে প্রাণীজ আমিষের সমান পুষ্টি পাওয়া যায়। আমিষ, তেল/চর্বি, শর্করা, ভিটামিন, খনিজ উপাদান কোনটিরই ঘাটতি নেই। স্বল্প খরচে সয়াবিন চাষ করা যায়। আবার বাজারে এর দামও কম। তাই আমাদের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে সয়াবিন খাবারের সাথে যোগ করতে পারি।

অধিকাংশ মানুষের ধারণা সয়াবিন থেকে শুধু তেল উৎপাদন হয়। কিন্তু না, সয়াবিন থেকে যেমন তেল হয়, তেমনি অন্যান্য জিনিসও উৎপাদন হয়। সয়াবিন থেকে পরোটা, মসলাযুক্ত সয়া বাদাম বা নাট, সয়া পেঁয়াজু, সিঙ্গারা, সয়াবিন ঘুগনি, সয়াবিন চটপটি, সয়া ময়দা, সয়া শিশু খাদ্য, সয়া ডাল, সয়া টক ডাল, সয়া হালুয়া, সয়া খিচুরী, সয়া পাতরা, সয়া ভর্তা, সয়াবিন মিশ্রিত মিষ্টি কুমড়ার তরকারি, সয়াবিন মিশ্রিত আলুর তরকারি, সয়াবিন মিশ্রিত শাক, সয়া দুধ, সয়া দধি, সয়া ভাঁপা পিঠা ইত্যাদি।

সয়াবিন চাষ ও জাত

সব ধরনের মাটিতে সয়াবিন চাষ করা যায়। তবে পলি, দো-আঁশ মাটিতে সয়াবিন চাষ : পশ্চিমবঙ্গের ভাল হয়। সয়াবিন চাষ গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকালে করা যায়।

ফসলের সময় ও বীজ

বীজ বুনা থেকে ফসল কাটা পর্যন- ১০০ থেকে ১১৫ দিন সময় লাগে। চাষের জন্য লাগে একরপ্রতি ১২ থেকে ১৬ কেজি বীজ।

সার প্রয়োগ

ইউরিয়া ২০০ গ্রাম প্রতি শতাংশে। টি.এস.পি ৫০০ গ্রাম প্রতি শতাংশে। এম.পি ২৫০ গ্রাম প্রতি শতাংশে। জিপসাম ৪৫০ গ্রাম প্রতি শতাংশে।

পরিচর্যা

জমি সব সময় আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। রোদে জমি শুকিয়ে গেলে সেচ দিতে হবে এবং পোকা-মাকড় দমনের জন্য স্থানীয় উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

সাধারণত রবি মৌসুমে সয়াবিনের ব্যাপক ফলন পাওয়া যায়। এ সময় একরপ্রতি ২০/২৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য সময় ১৫/১৮ মণ ফলন হয়।

তথ্য সংকলন : বিকাশপিডিয়া টীম, পশ্চিমবঙ্গ

সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/17/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate