অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কলা কীট নিয়ন্ত্রণ কৌশল

পোকা নিয়ন্ত্রণ

উইভিল পোকা

কজাল অরগানিজম – কসমোপলিটেস সরডিডাস

লক্ষণ

এই পোকা গাছের গোড়ায় এঁটের মধ্যে সুড়ঙ্গ তৈরি করে এবং গাছের গোড়া কালো হয়ে পচে যায়। ফলে আক্রান্ত গাছ সহজে ভেঙে পড়ে যায়। পূর্ণাঙ্গ পোকা গাছের গোড়ায় গর্ত করে ডিম পাড়ে। পরে শুককীট বা লার্ভা পোকাও ছিদ্র করে মজ্জার মধ্য প্রবেশ করে গাছকে মেরে ফেলে। এর আক্রমণ বত্সরের সব সময়েই হয়।

প্রতিকার

আক্রান্ত গাছের কাণ্ড কেটে পোকাগুলিকে বের করে মেরে ফেলতে হবে। এ ছাড়া রাসায়নিক ওষুধ ক্লোরোপাইরিয়াস ৪.০ মিলিলিটার বা এন্ডোসালফান ১.৫ মিলিলিটার বা কার্বারিল ২.৫ গ্রাম লিটার বা কুইনালফস ২.০ মিলিলিটার জলে গুলে গাছের গোড়ায় স্প্রে করতে হবে।

কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা

কজাল অরগানিজম – ওডইপোরাস লঙ্গিকোলিস

লক্ষণ

সারা বত্সর সময় কালে এই পোকার প্রাদুর্ভাব হয়। পোকার গ্রাব দশায় কাণ্ড ছিদ্র করে সুড়ঙ্গ তৈরি করে, ফলে গাছ পচে যেতে থাকে ও দুর্বল হয়ে যায়।

প্রতিকার
  • দানাদার ওষুধ কার্বোফুরান ৩৫ গ্রাম গাছ প্রতি প্রয়োগ করা যায়।
  • আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিতে হবে।

পাতা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা

কজাল অরগানিজম – নোডসটোমা সাবকোস্টা

লক্ষণ

আগস্ট – সেপ্টেম্বর মাসে আক্রমণের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। পূর্ণাঙ্গ পোকা কুরে কুরে কচি পাতা ও ফল খাওয়ার ফলে পাতা ও ফলের উপর কালো / মরচে রঙের দাগ সৃষ্টি হয়।

প্রতিকার

প্রথম ছড়া বার হলেই এন্ডোসালফান ১.৫ মিলি বা কার্বারিল ২.৫ গ্রাম বা কুইনালফস ২.০ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়াও নীল বা সাদা ৩৫ – ৪০ মিলি মাইক্রন পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ঢেকে দিতে হবে এবং অবশ্যই পলিথিন ব্যাগে ৬% ছিদ্র রাখতে হবে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ

ঢলে পড়া বা পানামা রোগ

কজাল অরগানিজম – ফুসারিয়াম অক্সিসপোরাম অফ কিউবেন্স

লক্ষণ

ছত্রাকঘটিত এই রোগের কারণে গাছের তৃতীয় বা চতুর্থ পাতায় আক্রমণের লক্ষণ দেখা যায়। আক্রান্ত গাছের নীচের দিকের পাতাগুলি প্রথমে হলুদ হয়ে যায়। পরে সব পাতাই হলুদ হয়ে ভেঙে নীচের দিকে ঝুলে পড়ে। এঁটে আড়াআড়ি ভাবে কাটলে বৃত্তাকার বাদামি বা কালো রঙের দাগ দেখা যায়। মর্তমান বা লম্বা জাতের কলাতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।

প্রতিকার

নিরোগ তেউড় লাগাতে হবে। তেউড়ের গোড়া কার্বোজিম বা বেনোমিল ১ গ্রাম / লিটার জলে গুলে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে লাগাতে হবে। এ ছাড়াও মাটিতে জৈব জাত ওষুধ ট্রাইকোডারমা ১ গ্রাম প্রতি ২০ গ্রাম কম্পোস্ট বা জৈবসারের সঙ্গে মিশিয়ে ৭ – ১০ দিন ছায়ায় জারিয়ে নিয়ে কলাবাগানে প্রতি বর্গমিটার এলাকায় ২৫ গ্রাম হিসাবে মাটির সঙ্গে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিলে রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ করা যায়। রোগ প্রতিরোধী জাত হিসাবে কাবুলি, জায়েন্ট গভর্নর, রোবাস্ট, জি-৯ ইত্যাদি জাত চাষ করা যেতে পারে।

সিগাটোকা রোগ

কজাল অরগানিজম – মাইকসফ্যারেল্লা মিউসিকোলা

লক্ষণ

ছত্রাকঘটিত এই রোগের ফলে পুরনো পাতার নীচের দিকে ফিকে হলুদ রঙের লম্বা লম্বা দাগ দেখা যায়। পরে তা ক্রমশ কালচে ধূসর রঙে পরিণত হয় এবং অন্যান্য পাতায়ও তা ছড়িয়ে পড়ে আম গাছ মারা যায়। জুলাই – ডিসেম্বর অবধি এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়।

প্রতিকার

আক্রমণের প্রারম্ভে রাসায়নিক ওষুধ ম্যাঙ্কোজেব ৭৫% ডব্লুপি ২.৫ গ্রাম বা প্রাপকোনাজল বা টেবুকোনাজল ২৫% ১.০ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে স্টিকার বা মিশ্রণ সহ গাছের পাতায় ভালো ভাবে ৩ – ৫ বার প্রতি ৭ – ১০ দিন অন্তর স্প্রে করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

গুচ্ছ মাথা রোগ

এটি একটি ভাইরাসঘটিত রোগ এবং বাহক জাব পোকার মাধ্যমে এই রোগের বিস্তার হয়।

লক্ষণ

চারাগাছের মাথার পাতাগুলি ঠাসাঠাসি করে থাকে এবং গুচ্ছ মাথার সৃষ্টি করে। আগস্ট – সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ জাব পোকার আক্রমণ বেশি হয়। কাবুলি বা বেঁটে জাতের কলায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।

প্রতিকার

আক্রান্ত গাছ গুলি বাড়শুদ্ধ তুলে বাগানের বাইরে মাটির ভিতরে পুঁতে ফেলতে হবে। আর জাব পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইমিডাক্লোপ্রিড ১.০ মিলি প্রতি ৫ লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে।

সূত্র

  1. হ্যান্ড বুক অফ এগ্রিকালচাল আই সি এ আর, নিউ দিল্লি
  2. কৃষি পুস্তিকা – ১২, হুগলি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ, বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চুঁচুড়া, হুগলি
  3. শস্য সংরক্ষণ শিডিউল, আই পি এম — কৃষি অধিকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/11/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate