ভারতের শিক্ষা জগতের কাছে এখন উদযাপনের সময়। টাইমস হায়ার এডুকেশনের উৎকর্ষ তালিকায় এই প্রথম জায়গা করে নিয়েছে ভারতের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়। ৪০টি প্রতিষ্ঠানের এই তালিকায় পঁচিশে আছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি) এবং ৩৭তম স্থান দখল করেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) বোম্বে। ব্রিকস ও বিকাশশীল অর্থনীতির দেশগুলির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে ২০১৫-এর জন্য ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তালিকা বেছে নেওয়া হয়েছে এবং সম্প্রতি তা প্রকাশিতও হয়েছে।
যদিও তালিকার প্রথম দশের মধ্যে ব্রিকস-এর অন্য দেশগুলির (ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও, ভারতের সেখানে ঠাঁই হয়নি। ১০০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অবশ্য সংখ্যার দিক থেকে চিনের পরেই রয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি (ব্রিকসের মধ্যে)। ২২টি বিকাশশীল অর্থনীতির দেশকে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।
এই তালিকায় ক্রমেই নিজেদের গুরুত্ব বাড়িয়ে চলেছে চিন। তালিকার প্রথম দু’টি স্থানেই রয়েছে চিনের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (১-এ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়, তার পরেই সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়)। ১০০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় চিনের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ২৩। নবম স্থানে রয়েছে চিনের ফিউডান বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অফ চায়না এ বার আর প্রথম দশে থাকতে পারেনি। তাদের স্থান হয়েছে একাদশ।
চিনের পরেই রয়েছে তাইওয়ান। সে দেশের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। যদিও গত বছর সে দেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় ছিল।
ব্রিকস ও বিকাশশীল অর্থনীতি ২০১৫-র তালিকা তৈরির এ বারের পদ্ধতিটি, গত বারের থেকে কিছুটা আলাদা ছিল। বিকাশশীল অর্থনীতির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চরিত্র এবং তাদের চাহিদাকে বোঝাই ছিল এই পরিবর্তনের লক্ষ্য। ‘গবেষণার প্রভাব’, যা প্রকাশনার সংখ্যা দিয়ে মাপা হয়, তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে তার গুরুত্ব ৩০% থেকে কমিয়ে ২০% করা হয়েছে। ‘শিল্পক্ষেত্র থেকে উপার্জন-উদ্ভাবন’ ক্ষেত্রের গুরুত্ব ২.৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% এবং ‘আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি’র গুরুত্ব ৭.৫ % থেকে বাড়িয়ে ১০% করা হয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020