গত বছরই প্রথম এই তালিকা প্রকাশিত হয়। সে বার ১০০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ভারতের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, এ বার সংখ্যাটা সামান্য বেড়ে হয়েছে ১১। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং আইআইটি বোম্বে দু’টি প্রতিষ্ঠানই এ বছরই প্রথম এই তালিকায় জায়গা করে নিল। এ ছাড়াও ৩৯তম স্থানে আছে আইআইটি রুরকি এবং ৪০তম স্থানে আছে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়াও ১০০-র তালিকায় রয়েছে আইআইটি খড়গপুর (এ বার ৪৩, গত বার ত্রিশতম স্থানে ছিল)। আইআইটি দিল্লি ৩৭ থেকে পিছিয়ে এ বার ৫৬ নম্বরে। তালিকায় পিছিয়ে গিয়েছে আরও ৩টি প্রতিষ্ঠান। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ( ৫৭ থেকে ৭১), আইআইটি কানপুর (৩৪ থেকে ৭৪) এবং আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি (৫০ থেকে পিছিয়ে ৭৮)।
ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একমাত্র উন্নতি করেছে আইআইটি মাদ্রাজ, গত বার ৪৭তম স্থানে থাকলেও এ বার তারা ৪৪-এ। অন্য দিকে চোখে পড়ার মতো অবনতি আইআইটি গুয়াহাটির- গত বার ৪৮তম স্থান পেলেও এ বার তারা পিছিয়ে ৯৮-এ।
গত বছর পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটিগুলির থেকে অনেক ওপরে স্থান পাওয়ায় (ত্রয়োদশ) অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। এ বার অবশ্য তারা পিছিয়ে ৩৯-এ। এ বছর তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে শিল্পক্ষেত্র থেকে উপার্জন এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই পিইউ পিছিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নতুন গবেষণা ও সেই সংক্রান্ত প্রকাশনার ক্ষেত্রে তারা বেশ ভাল ফল করেছে।
পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণ কুমার গ্রোভার স্বীকার করেছেন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং আইআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে ওঠা তাদের পক্ষে কঠিন, কারণ সেগুলি শিল্পক্ষেত্র থেকে যথেষ্ট অর্থ এবং অন্যান্য সহায়তা পেয়ে থাকে।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমতালিকায় পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একই অবস্থানে ছিল আইআইএসসি, কিন্তু আইআইটিগুলি অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এ বার যোগ্যতা নির্ণয়ের ধরন পাল্টে যাওয়ায়, সেগুলি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ‘আমরা ওই ধরনের কর্পোরেট ও শিল্পক্ষেত্রের অর্থ পাই না। আইআইএসসি এখন থেকে এগিয়েই থাকবে, কারণ তারা এ বছর থেকে অনেক অর্থ পেতে শুরু করেছে’, বলেন গ্রোভার।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020