স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। তবে বেসরকারি বিএড কলেজে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত সচিবের স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সরকারি বিএড কলেজগুলি নিজেদের মত অনলাইনে ছাত্র ভর্তি করতে পারবে। বেসরকারি বিএড কলেজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি হবে। এই সিদ্ধান্ত আগামী দিনে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া জনিত সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক বলে মনে করছে অনেকেই।
প্রসঙ্গত, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন হলেও এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভাবে ছাত্র ভর্তি করা হবে না। প্রতিটি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের মত পরিকাঠামো তৈরি করে ছাত্র ভর্তির কাজ সম্পন্ন করবেন। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু হলেও, বিএড কলেজগুলিকে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছিল। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিএড, এমএড, বিপিএড, এমপিএড কোর্সেও অনলাইনে ছাত্র ভর্তি করতে হবে। গত বছর নদিয়ায় ভক্তবালা বিএড কলেজে টাকার বিনিময়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যের অন্যত্রও ভর্তি প্রক্রিয়ায় আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরের। সম্প্রতি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিএড কলেজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ শুনেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য এখন দুশোরও বেশি বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, বিতর্ক এড়াতেই আগে থেকে সতর্ক হতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই সরকারি বিএড কলেজগুলিতে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ধাঁচেই অনলাইন চালু করা হলেও, বেসরকারি কলেজগুলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরদারি জোরদার করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, নতুন নির্দেশিকা নিয়ে সংশয়ও রয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে অনলাইনে ভর্তি চালু করতে সরকারের বিপুল টাকা খরচ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিএড কলেজগুলিতে খরচের ভার সামলানো নিয়ে সন্দিহান দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।
সূত্র: এবেলা, ১০ মার্চ, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020