অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

বিএডে পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে

বিএডে পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে

রাজ্য সরকারের তুঘলকি নির্দেশে ফের বিভ্রান্তি শিক্ষাক্ষেত্রে। এ বার রাজ্যজুড়ে বিএড-এ ভর্তি নিয়ে গোল বাধল। কবে থেকে কোন পদ্ধতিতে সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখায় এবং সেল্ফ ফিন্যান্সড বিএড কলেজে পড়ুয়ারা ভর্তি হবেন, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আদালতের রায়ের অপেক্ষায় সরকারি কর্তারা। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ৩ মার্চ এক নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, আসন্ন শিক্ষাবর্ষে (২০১৫ -’১৬ ) সেল্ফ ফিন্যান্সড বিএড/বিপিএড/এমএড/এমপিএড কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন পদ্ধতিতে পড়ুয়া ভর্তি করতে হবে। যদিও সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত বিএড কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় অনলাইনে ভর্তি হলেও কেন্দ্রীয় ভাবে নয়। খোদ রাজ্যের সাহায্যপুষ্ট একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ই এ ব্যাপারে উচ্চশিক্ষাসচিব বিবেক কুমারের কাছে তাদের আপত্তি জানিয়েছে। সেল্ফ ফিন্যান্সড বিএড কলেজগুলি বৈষম্যের প্রতিবাদে রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছে। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকেও জট খোলেনি। বরং কলকাতা হাইকোর্ট-সহ দেশের একাধিক রাজ্যের হাইকোর্টে বিএডে ভর্তি নিয়ে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের (এনসিটিই ) ২০১৪ সালের নিয়মবিধিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা মামলার দিকেই তাকিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কর্তারা।

কলকাতা ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বহু সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কলেজ ইতিমধ্যে নয়া বিধিমতো ১০০-র পরিবর্তে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তির আবেদন জানিয়ে এনসিটিই-র কাছে হলফনামা দিয়েছে। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কর্তারা অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। উচ্চশিক্ষাসচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মধুমিতা রায়, স্কুলশিক্ষা সচিব অর্ণব রায়, উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা নিমাই সাহা, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরির্দশক ও বিএড কলেজের অধ্যক্ষরা। রাজ্যে আপাতত ২৮৬টি বিএড কলেজ আছে। সব মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। তার মধ্যে আবার দুশো -র বেশি কলেজই সেল্ফ ফিন্যান্সড। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজা বলেন, ‘সেল্ফ ফিনান্সিং বিএড কলেজে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তির নির্দেশ এত কম সময়ে কার্যকর করা কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৭২টি কলেজ রয়েছে। এত দ্রুত নয়া পদ্ধতি কার্যকর অসম্ভব।’ পৈলান কলেজ অব এডুকেশনের অধ্যক্ষা মঞ্জুষা তরফদারের কথায়, ‘নানা বিভ্রান্তির জন্য বিএডে ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও শুরুই করা যায়নি। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আজ পর্যন্ত কোনও নির্দেশও দেয়নি।’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন শাখার সচিব অরিন্দম বণিক জানান, ইতিমধ্যে বিভাগের পাশাপাশি আটটি সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ বিএডে ১০০-র বদলে ৫০ জন করে পড়ুয়া ভর্তির অনুমতি চেয়ে এনসিটিই-র কাছে হলফনামা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (বারাসত) ও কল্যাণী অবশ্য এ রকম কোনও উদ্যোগ নেয়নি। রাজ্যর সেল্ফ ফিনান্সড বিএড কলেজের সংগঠন দেশপ্রাণ আন-এডেড বিএড কলেজ অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহিম খান বলেন, ‘সরকারি টাকায় পুষ্ট বিএড কলেজে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। অথচ কোনও সাহায্য না দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’

সূত্র: এই সময়, ১৩ মার্চ, ২০১৫

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate