অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কী করবেন, কী করবেন না

কী করবেন, কী করবেন না

  • কখনও কোনও অবস্থায়, কোনও প্রতিবেশী জাতি বা গোষ্ঠী সম্পর্কে কোনও বিরূপ মন্তব্য করবেন না – ঠাট্টার ছলেও না, বাড়িতে আপনজনের মধ্যেও না, সেই গোষ্ঠীর কোনও উপস্থিত ব্যক্তি আপাত মেনে নিলেও না। ছেলেমেয়েরা এমন কিছু বললে থামিয়ে দেবেন। আত্মীয়বন্ধুরা বললে অসন্তোষ জানাবেন।
  • একই যুক্তিতে, আপনার জাতি, ধর্ম বা সমাজ নিয়ে কেউ অনুরূপ মন্তব্য করলে নির্দ্বিধায় প্রতিবাদ করবেন। ঔদার্যের অজুহাতে, বা মেকি কসমোপলিটানিজমের চেষ্টায়, মেনে নেবেন না – তাতে শেষ অবধি হেয় ও হাস্যাস্পদ হবেন।

  • কর্মস্থলে জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে দল পাকাবেন না, গুজব ও বিদ্বেষ ছড়াবেন না। অপরকে ছড়াতে দেখলে সাধ্যমত সক্রিয় বিরোধিতা করবেন। মালিক বা কর্তৃপক্ষ এমন মন্তব্য করলে বা বৈষম্য দেখালে, কোনও ভাবে অসন্তোষ জ্ঞাপন করা যায় কিনা ভাববেন। অন্তত সরকারি বা আধা-সরকারি ক্ষেত্রে তা প্রায়শ সম্ভব।
  • তার আগে বুকে হাত রেখে ভাববেন কিন্তু ভিন রাজ্যের কোনও বদলি-হওয়া আধিকারিক কি নিছক তাঁর অভ্যস্ত নিষ্ঠা ও কর্মসংস্কৃতি আপনার ঢিলেঢালা, হয়তো দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসে চালু করতে চাইছেন? সে ক্ষেত্রে তাঁকে হেনস্থা করে নিজেকে ও আপনার শহরকে হীন ও বঞ্চিত করবেন না।

  • পাড়ার সব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করবেন। নিজের পাড়ায় তেমন গোষ্ঠী না থাকলে বাইরে থেকে আমন্ত্রণ করে আনবেন। পাড়ার যাবতীয় কাজে ও সংগঠনে তাঁদের প্রতিনিধি রাখবেন। ব্যক্তিগত ভাবে তাঁদের সঙ্গে মেলামেশা করবেন, ছেলেমেয়েদের এক সঙ্গে মিশতে ও খেলতে উৎসাহিত করবেন।
  • কোন প্রবাসী পরিবার ও সম্প্রদায়ের কোনও বিশেষ রীতি আপনার রুচি বা স্বাচ্ছন্দ্যের পরিপন্থী হতে পারে। যতটা সম্ভব তা মেনে নেবেন। সঙ্গত (যথা, স্বাস্থ্যজনিত) কারণে নেহাৎ অগ্রহণীয় হলে মার্জিত ভাবে অসুবিধার কথা জানাবেন ও অন্য সব দিক দিয়ে হৃদ্যতা দেখাতে বিশেষ করে সচেষ্ট হবেন।
  • আর ভেবে দেখবেন : আপনার কোনও আচার-অভ্যেস তাঁরা অসুবিধা সত্ত্বেও মেনে নিচ্ছেন কি? সেই অভ্যেসগুলি নৈর্ব্যক্তিক বিচারে অপরিহার্য কি?

  • স্বল্পকালের আগন্তুক বা হঠাৎ বদলি-হওয়া কর্মী, আর বংশ পরপরম্পরায় শহরে-ঘর-করা কোনও গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের কাছ থেকে শহর সম্পর্কে এক রকম মমত্ব বা আনুগত্য দাবি করবেন না।
  • কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়ের উৎসব-অনুষ্ঠানে প্রায়ই অন্যদের কিছু বিঘ্ন বা অসুবিধা ঘটে – যথা, রাস্তা বন্ধ করে বা অতিরিক্ত আওয়াজ করে। সর্বদা সম্ভব হোক আর না হোক, সকলের ক্ষেত্রে সেই মাত্রাটা এক স্তরে বেঁধে দেওয়া যে কাম্য, সেটা স্বীকার করতে আপত্তি কি? নানা সামাজিক বা রাজনৈতিক কারণে প্রায়ই তা সম্ভব হয় না। যত বেশি লোক নৈতিক ভাবে এমন ভাবতে শেখে --– অবশ্যই মাঠে নেমে গোল পাকিয়ে নয় বা সাধারণ ভাবে জাতিবিদ্বেষ প্রশ্রয় দিয়ে নয় --– ততই উত্তরোত্তর তা সম্ভব হয়ে ওঠে।

সূত্র : ‘নগর ও নাগরিক’, অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী, আলাপ, ১৫৮/২এ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, কলকাতা ৭০০ ০৪৫।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate