আগেই বলা হয়েছে, বিশ্বের অফুরন্ত জ্ঞানভাণ্ডারের সঞ্চয় আমানত হলো ইন্টারনেট। বাস্তবিকই ইন্টারনেটকে তথ্যের সমুদ্র বলা যায়, সারা বিশ্বের মানুষ যে সমুদ্র থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন। কিন্তু এই সঞ্চয় আমানত এমনই যে, তথ্য এখানে থাকে স্থায়ী ভাবে। একই সঙ্গে মূলত চারটি ভূমিকা পালন করে ইন্টারনেট। এটি একাধারে একটি নেটওয়ার্ক বা কার্যক্রম, একটি মিডিয়াম বা মাধ্যম, মার্কেট বা বাজার (বিশ্ব জুড়ে যার পরিধি) এবং লেনদেন বা ট্রানজাকশনের মঞ্চ বা প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা পালন করে থাকে।
বিভিন্ন সংস্থা বা সংগঠন তাদের দফতর ও কর্মীদের মধ্যে যোযাযোগ তৈরির জন্য ইন্টারনটকে ব্যবহার করতে পারে। তখন ইন্টারনেট কার্যত একটি ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের চেহারা নেয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রে।
বিভিন্ন রকম কাজে যোগাযোগের মাধ্যমের ভূমিকা পালন করে ইন্টারনেট। এই কাজের কার্যত কোনও সীমা–পরিসীমা নেই। পণ্যের বিপণন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্পসংস্থার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন, যে কোনও কাজেরই মাধ্যম হতে পারে ইন্টারনেট।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনের কাজও করা যায়। কোনও সংস্থা তার জোগানদার, ক্রেতা ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কম্পিউটার মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক লেনদেনের কাজ সেরে ফেলতে পারে।
ইন্টারনটে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলি সম্পর্কে এ বার আমরা জেনে নেব।
ইন্টারনেটে বিভিন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যুক্ত থাকে উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কগুলিকে যুক্ত করে ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ (www)। পুরো কথাটি হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। পৃথিবীব্যাপী এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুলভে ও দ্রুত তথ্য আদানপ্রদানের সুবিধা পাওয়া যায়।
কোনও ব্যবহারকারী যখন কম্পিউটারের মাধ্যমে নিজস্ব নেটওয়ার্ক থেকে ইন্টারনেটের নেটওয়ার্কে ঢুকতে চান, তখন তিনি যে ব্যবস্থার মাধ্যমে তাতে প্রবেশ করেন, তাকেই বলে গেটওয়ে। যেমন ভিএসএনএল।
পুরো কথা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। যে সব সংস্থা বা কোম্পানি কোনও ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করিয়ে দেয়, তাদের বলে আই এস পি। যেমন ভিএসএনএল, এমটিএনএল ইত্যাদি।
সূত্র : কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আই আই আই এম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/13/2020