দক্ষিণ পূর্ব মেক্সিকোর দুর্ভেদ্য অরণ্য | কিন্তু অর মধ্যেই আছে ইতিহাসের আকর | নিশ্চিত ছিলেন ইভান স্প্রাক | উপগ্রহের ছবি আরও জোরদার করে স্লোভেনিয়ার এই অধ্যাপকের ধারণা | তাঁর নেতৃত্বে চলে অনুসন্ধান পর্ব |
এবং ফল মিলল | ঘন জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কৃত হল বড় কেল্লা, আকাশছোঁয়া পিরামিড এবং বাজারের ধ্বংসাবশেষ | ঐতিহাসিকদের মতে, এই ভগ্নাবশেষ আসলে মায়া সভ্যতার চিহ্ন | এই দুই শহর হল ইউকাটান উপসাগরীয় অঞ্চলে লাগুনিতা এবং তামচেন | খ্রিস্টিয় ৬০০ থেকে ১০০০ শতকে উৎকর্ষের শীর্ষে উঠেছিল যারা |
আবিষ্কৃত পিরামিডের মধ্যে কোনও কোনওটা প্রায় ৬৫ ফিট উঁচু | এমনকী, ঘন সবুজ বৃষ্টি অরণ্যের মধ্যে পর পর দাঁড়িয়ে আছে একাধিক পিরামিড | এছাড়াও দেখা গেছে এক বিশাল দরজা | যার গায়ে খোদাই করা আছে ভীষণ দর্শন একটি মুখ | গবেষকরা মনে করছেন এটি আসলে নগরীর প্রধান প্রবেশদ্বার |ওই দৈত্যের মুখ হতে পারে নরকের প্রতীক |
এই জঙ্গলে এখনও খননকার্য হয়নি | তবে গবেষকরা মনে করছেন এরকম আরই কয়েক ডজন নগরীর ভগ্নাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গাছপালার আড়ালে |
রহস্যে ঢাকা মায়ান বা মেজোআমেরিকান সভ্যতা গড়ে উঠেছিল খ্রিস্টের জন্মের ২০০০ বছর আগে | শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি, স্থাপত্য এবং কৃষির উৎকর্ষে ওঠা মায়া সভ্যতার ধ্বংসের কারণ নিয়ে ওইতিহাসিকরা একমত নন | তবে স্পেনীয় ঔপনেবেশিকদের আক্রমণে মায়া সভ্যতার কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হয় |
প্রাচীন যুগের সেই স্মৃতি নিয়ে আজও দক্ষিণ আমেরিকার অরণ্যে লুকিয়ে আছে এই সভ্যতার নিদর্শন | নতুন করে নতুন প্রজন্মের সামনে আসার অপেক্ষায় |
সুত্রঃ banglalive.com
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/16/2020