অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

শঙ্খ ঘোষকে ডিলিট আইআইইএসটির

শঙ্খ ঘোষকে ডিলিট আইআইইএসটির

শঙ্খ ঘোষ (৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ - ) এক জন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্য সমালোচক। তিনি এক জন বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞও। তাঁর প্রকৃত নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। যাদবপুর, দিল্লি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনাও করেছেন। বাবরের প্রার্থনা কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, এ আমির আবরণ, উর্বশীর হাসি, ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি। সাহিত্যের ক্ষেত্র ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ঘটনায় নিয়মিত প্রতিক্রিয়া জানানো ও পথে নামার মধ্য দিয়ে শঙ্খবাবু আজও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির বিবেকের ভূমিকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছেন।প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শঙ্খ ঘোষকে ডিলিট দেওয়া হল শিবপুরের আইআইইএসটির তরফে।

ওই অনুষ্ঠানে শঙ্খ ঘোষ ছাড়াও দিল্লি আইআইটির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক বিক্রম কুমার এবং বেঙ্গালুরু ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এর অধ্যাপক দীপঙ্কর দাসশর্মাকেও সম্মানিত করা হয়। এ ছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য চৈতন্যময় গঙ্গোপাধ্যায়, রঞ্জিত রায় এবং শুভময় মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট প্রাক্তনীদেরও বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়। সম্মান প্রাপকদের হাতে ডিগ্রি তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অফ গর্ভনেন্সের চেয়ারম্যান এবং ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণন। অনুষ্ঠানে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন বিশ্বেশ্বরাইয়া টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক পি ঘিনচা। তিনি ভাষণের শেষে ছাত্রছাত্রীদের পেশায় উন্নত হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইআইইএসটির ডিরেক্টর অজয় রায় বলেন, ‘এ বছর মোট ৮০০ জনকে স্নাতক স্তরে সম্মান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গোল্ড মেডেল পেয়েছেন একাধিক পড়ুয়া। এক জন প্রেসিডেন্টস গোল্ড মেডেল পেয়েছেন।’ তাঁর কথায়, ‘বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ কমলেও আইআইইএসটি-র কোনও অসুবিধে হবে না। তাই আইআইইএসটি-র ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী।’ এই সূত্রেই তিনি জানিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান আরও উন্নত করার জন্য কেন্দ্র মঙ্গলবারই মোটা টাকার অনুদান দিয়েছে। রাধাকৃষ্ণনের কথায়, ‘এই প্রতিষ্ঠানের আরও অগ্রগতি বাড়াতে আমাদের একটা নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’ বেসু থেকে আইআইইএসটিতে উন্নীত হওয়ার সময়কাল খুব বেশি নয়। রাজ্যের নামজাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে শিবপুর চিরকালই বেশ উচ্চমানের পড়াশোনা ও গবেষণা চালানোর সুনাম বহন করছে।

সূত্র: এই সময়, ৫ মার্চ, ২০১৫

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate