প্রতিষ্ঠানটি পথ চলা শুরু করে ১৮৫৬ সালে। এটি দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। তখন তার নাম ছিল ক্যালকাটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কলেজের কাজ হত রাইটার্স বিল্ডিং-এ। ১৮৬৪ সালে প্রথম স্নাতক স্তরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পরীক্ষা, তাতে ২ জন ছাত্র গ্র্যাজুয়েট হন। ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে শিবপুরের বর্তমান ক্যাম্পাসে সরিয়ে আনা হয়। ১৯২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কলেজটির নাম পাল্টে করা হয় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিবপুর। ১৯২১ সালের ২৪ মার্চ নাম থেকে শিবপুর শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির নাম হয় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি পুরোদস্তুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এর নাম হয়, বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি। ২০১৪ সালের মার্চে, একে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় গুরুত্বের প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্রতিষ্ঠানটিকে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স ও টেকনোলজির অধীনে নিয়ে আসা হয়। এর নাম হয় আইআইইএসটি, শিবপুর।
২০১৪ সালের জুন মাসে আইআইইএসটি, শিবপুরকে আইআইআইটি কল্যাণীর মেন্টর প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
আগামী ৫ বছরে পরিকল্পনামাফিক মানোন্নয়নের পর থেকে আইআইটির মতোই অর্থ পাবে আইআইইএসটি গুলি। পরিকাঠামো উন্নয়নে ৫ বছরের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এককালীন ৫০০ কোটি টাকা পাবে এবং প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা পাবে। এই হিসাবে অর্থ সাহায্য পাবে শিবপুরের আইআইইএসটি-ও।
২০১৫ সাল থেকে জেইই অ্যাডভান্স পরীক্ষার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যাবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020