২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ারকে পশ্চিমবঙ্গের ২০তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি কাজ ও পরিষেবা মানুষের কাছে আরও দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যাচ্ছে। জেলা, ব্লক ও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলির উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্য
- আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল ও বীরপাড়া হাসপাতালে ২টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু হয়ে গেছে।
- আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে Fair price diagnostic centre চালু হয়ে গেছে।
- ফালাকাটায় উন্নতমানের মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে।
শিক্ষা
- কালচিনি ও মাদারিহাটে নতুন মডেল স্কুল নির্মাণের কাজ চলছে।সব স্কুলে মিড ডে মিল চলছে যার ফলে পুষ্টি এবং ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার বেড়েছে এবং স্কুল ছুট ছাত্রের সংখ্যা কমেছে।প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়েদের জন্যও পৃথক শৌচাগার নির্মিত হয়েছে।
ভূমি সংস্কার ও কৃষি
- এই জেলায় প্রায় ১৫০০ যোগ্য ভূমিহীন পরিবারের হাতে ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে। এই জেলায় প্রায় ৩৫০০ পাট্টা প্রদান করা হয়েছে।এই জেলার প্রায় ৯২% কৃষক পরিবারকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।কৃষক বাজার – ফালাকাটায় একটি কৃষক বাজার চালু হয়ে গেছে।
১০০ দিনের কাজ
এই জেলায় বিভিন্ন ব্লকে ১০০ দিনের কাজে ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় ৭৮ লক্ষ শ্রম দিবস সৃষ্টি হয়েছে।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন
মিশন নির্মল বাংলা – এই প্রকল্পে প্রায় ২২ হাজার শৌচাগার নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন
- বিগত দেড় বছরে ১০ হাজারের বেশি সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীকে প্রায় ২ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
- এছাড়া স্বনির্ভরতার জন্য সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের সাড়ে ৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
অনগ্রসর কল্যাণ
‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় এই জেলার প্রায় ৬১ হাজার ছাত্র-ছাত্রী সহায়তা পেয়েছে।
কন্যাশ্রী প্রকল্প
নবগঠিত আলিপুরদুয়ার জেলায় সাড়ে ৩৩ হাজারেরও বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের সহায়তায় এসেছে।
খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচী
‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় এই জেলায় প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ ২ টাকা কেজি দরে খাদ্যশস্য পাচ্ছেন।
পূর্ত ও পরিবহণ
- বিগত সাড়ে চার বছরে এই জেলায় পূর্ত দপ্তর ৫০টি রাস্তাঘাট, ব্রিজ ইত্যাদি প্রকল্প রূপায়নের কাজ হাতে নিয়েছে, এর মধ্যে ৩টি প্রকল্পের কাজ প্রায় ১৫০কোটি টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
- জেলার সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নে ২০০ কিমি রাস্তা পুনর্নির্মাণ/সম্প্রসারণ হয়েছে। আরও ১৫০ কিমি রাস্তার কাজ আগামী মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি
সমগ্র জেলায় ‘সবার ঘরে আলো’ প্রকল্পে ১০০% গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
সেচ
এই জেলায় ৫০ কিমি দৈর্ঘ্যের বাঁধ সংরক্ষণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরী
- বিগত সাড়ে চার বছরে ১৯টি জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, এর মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে।লোকনাথপুর, যশোডাঙ্গা ও মাদারিহাটে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
পর্যটন
এই জেলায় ডুয়ার্স মেগা ট্যুরিজম প্রজেক্ট-এর অন্তর্গত প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের কাজ চলছে। রত্নেশ্বর ঝিল, বাকলা, শিকিয়াঝোড়া এবং হাসিমারা এই প্রকল্পগুলির প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে।
পুর ও নগরোন্নয়ন
এই জেলায় মিউনিসিপ্যালিটি ৩০ কোটি টাকারও বেশি পরিকল্পনা খাতে ব্যয় করেছে। শহরাঞ্চলে ৪০০-র বেশি বাসস্থান নির্মিত হয়েছে।
তথ্য ও সংস্কৃতি
বর্তমানে এই জেলায় ১২০০ জন লোকশিল্পী রিটেনার ফি ও পেনশন পাচ্ছেন। আরও প্রায় ২৫০ জন লোকশিল্পী রিটেনার ফি ও পেনশন পেতে চলেছেন।
আবাসন
আলিপুরদুয়ার জেলায় গীতাঞ্জলি ও অন্যান্য প্রকল্পে প্রায় ২০০০ বাসস্থান নির্মিত হচ্ছে, এর মধ্যে প্রায় ১১০০ বাসস্থানের কাজ নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়ে গেছে।
ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ
- ক্রীড়ার মান উন্নয়নে জেলায় জেলায় ৪৭টি ক্লাবকে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।জেলায় ২৪টি মাল্টি জিম সেন্টার গড়ে তুলতে ৪৮ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
তথ্য সংকলন : কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট টীম, বিকাশপিডিয়া টীম, পশ্চিমবঙ্গ