সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। এই জেলার প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে গেছে।
এখানে উন্নয়নের কিছু খতিয়ান উল্লেখ করা হলঃ
স্বরাষ্ট্র
- প্রশাসনিক সুবিধার্থে ঝাড়গ্রামে নতুন জেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।ঝাড়গ্রাম ইতিমধ্যেই পৃথক পুলিশ জেলা হিসেবে গড়ে উঠেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান
- ঝাড়গ্রামকে পৃথক স্বাস্থ্য জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
- ৪টি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এগুলি হল – নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল ও গোপীবল্লভপুর।মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, খড়গপুর ও ঘাটাল হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু হয়ে গেছে। এইসব দোকান থেকে ওষুধ কেনার ফলে ৮ লক্ষের বেশি মানুষ ১৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ছাড় পেয়েছেন।মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, খড়গপুর হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ডায়াগনস্টিক কেন্দ্র চালু হয়ে গেছে।৩টি SNCU এবং ২২টি SNSU ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে। এছাড়া ১টি HDU এবং ২টি CCU চালু হয়ে গেছে। জঙ্গলমহল এলাকায় ১০টি ব্লকে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ইউনিট চালু আছে।
শিক্ষা
- এই জেলায় ৯টি কলেজ চালু হয়ে গেছে। যথা- লালগড়, নয়াগ্রাম, শালবনী, কেশিয়াড়ি, গোপীবল্লভপুর-২, দাঁতন-২, খড়গপুর-২, মোহনপুর ও ঝাড়গ্রাম।৭ টি আইটিআই নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আরও ২টি আইটিআই নির্মাণের কাজ চলছে।রামগড়ে নতুন পলিটেকনিক কলেজ চালু হয়েছে এবং পঠন-পাঠনও শুরু হয়েছে।
ভূমি সংস্কার ও কৃষি
- এই জেলায় নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্পে প্রায় ১৮ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে ৫৫৬ একর জমির পাট্টা প্রদান করা হয়েছে।বিগত সাড়ে চার বছরে ১২ হাজারেরও বেশি পাট্টা প্রদান করা হয়েছে।এই জেলায় ৭ লক্ষ কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।১১ টি কিষাণ মাণ্ডি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন
- বিগত সাড়ে চার বছরে ২.৬৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ৩৮ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া স্বনির্ভরতার জন্য সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের প্রায় ১০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হবে।
অনগ্রসর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন
- ১ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে সহায়তা পাচ্ছে। ১০৬০টি লোধা জনজাতির ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
কন্যাশ্রী
এই জেলায় আড়াই লক্ষ ছাত্রছাত্রী কন্যাশ্রীর আওতায় এসেছে।
খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচী – খাদ্য সাথী প্রকল্প
এই জেলায় ৪৫ লক্ষ মানুষ ২ টাকা কেজি দরে খাদ্যশস্য পাচ্ছেন।
শিল্প
- খড়গপুরে বিদ্যাসাগর ও গোদাপিয়াশাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মিত হয়েছে।জে.এস.ডব্লিউ সিমেন্টের শালবনি প্লান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
বিদ্যুৎ
‘সবার ঘরে আলো’ প্রকল্পে গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
সেচ ব্যবস্থা
- এই জেলায় জলতীর্থ প্রকল্পে ২১টি চেক ড্যাম রূপায়িত করা হয়েছে।কংসাবতী নদীর ওপর ৭৫০ মিটার দীর্ঘ আমকলা সেতু নির্মিত হয়েছে।
পর্যটন
ঝাড়গ্রামে ৩.৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি সার্কিট ট্যুরিজম প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঝাড়গ্রাম লিভিং আর্ট মিউজিয়াম, চিল্কিগড় কণকদুর্গা মন্দির সংস্কার, হাতিবাড়ি, কাঁকড়াঝোড়, কেটকীঝোড় ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প।
স্বনির্ভর গোষ্ঠী
- আনন্দধারা প্রকল্পে ৬ হাজার স্বনির্ভর দল গঠিত হয়েছে।১১টি কর্ম তীর্থর মধ্যে ২টির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, আরও ৯টির নির্মাণ কাজ চলছে।
আবাসন
গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ১৪ হাজার বাসস্থান নির্মিত হচ্ছে এর মধ্যে ৭ হাজার বাসস্থান নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
ক্রীড়া ও যুব কল্যান
শালবনি স্টেডিয়াম ও ঝাড়গ্রাম স্পোর্টস অ্যাকাডেমি নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
বায়োটেকনোলজি
- তপশিলি উপজাতি মানুষের উন্নয়নের জন্য লাক্ষা চাষ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে।এই জেলায় একটি বায়োফার্মাটিক সেন্টার তৈরি হয়েছে।
তথ্য সংকলন : কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট টীম, বিকাশপিডিয়া