বিমানে যাতায়াত এখন আর শুধু কিছু ধনী মানুষের বিলাসিতা নয়, সাধারণ মানুষেরও প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছর কুড়ি আগেও দৃশ্যটা অন্য রকম ছিল। ১৯৯১ সালে ভারতে এয়ারলাইন কোম্পানি বলতে ছিল শুধু এয়ার ইন্ডিয়া আর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস। দু’টোই সরকারি সংস্থা। আর এখন ২০টিরও বেশি কোম্পানি বিমান পরিষেবা দিচ্ছে। বেসরকারিকরণের ফলে ২০ বছরেই চেহারাটা পুরো পাল্টে গিয়েছে। এখন এয়ারলাইন যাত্রীদের সস্তায় বিমানযাত্রার সুবিধা করে দিচ্ছে। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে পাল্লা দিয়ে কমছে টিকিটের দাম। খাবারদাবার, বিলাস-বৈভব কাটছাঁট করে খুব সস্তায় ‘নো ফ্রিলস ট্রাভেলিং’-এর সুবিধা চালু হয়েছে। যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলির ওপর ভিত্তি করে ভারতের জিডিপি দ্রুতহারে বাড়ছে, তার মধ্যে একটা হল, ভারতের উড়ান পরিষেবা। বিগত দুই দশকে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রতি বছরে এই সংখ্যা বাড়ছে ২০ শতাংশ হারে। এখন ভারতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রায় প্রতি বছর গড়ে ১৬ কোটিরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করে।
প্লেন শুধু এক রকমের নয়। রয়েছে এয়ারবাস, বোয়িং-এর মতো যাত্রীবাহী বিমান, মিগ, বোমবার্ডিয়ান, হকার-এর মতো যুদ্ধ বিমান, বিচ এয়ারক্রাফ্ট বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান। এ ছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের বিমান। কোনও কোনও দেশের আবার নিজস্ব প্রযুক্তির বিমান থাকে। যেমন ইউরোপের এয়ারবাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং, কানাডার বোমবার্ডিয়ার, ব্রাজিলের এমব্রায়ের। এই সমস্ত হাজারো বিমান চালানো, দেখাশোনা ইত্যাদির জন্য প্রয়োজন প্রচুর দক্ষ পেশাদার ও শ্রমিক। উচ্চশিক্ষিত ও বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিতদের জন্য যেমন ভালো বেতনের চাকরি রয়েছে, তেমনই দেখাশোনার কাজে অনেক সাধারণ শ্রমিককেও নিয়োগ করা হয়। উড়ান ক্ষেত্রে সামগ্রিক ভাবে নানা ধরনের কাজ থাকলেও আমরা এখানে আলোচনা করব এমন তিন ধরনের কাজ নিয়ে, যেগুলিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে হলে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। পাইলট, বিমান সেবিকা/বিমান সেবক ও এয়ারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
সুত্রঃ যোজনা বিশেষ সংখ্যা জানুয়ারী ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019