দি ইনস্টিটিউট অফ ক্লিনিক্যাল রিসার্চ, ফার্মাকো ভিজিলেন্স বিষয়টির উপর এক বছরের কোর্স করায়। সাধারণত সপ্তাহ শেষে একটি বা দু’টি দিনে সেই ক্লাস চলে। বিষয়টি একেবারে নতুন বলেই এই সংক্রান্ত যাবতীয় পাঠ ও পরিকল্পনা এই কোর্সের মধ্যেই থাকে। একেবারে প্রাথমিক স্তরের ফার্মাকো ভিজিলেন্সের বিষয় থেকে শুরু করে ক্লিনিক্যাল রিসার্চে ফার্মাকো ভিজিলেন্সকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই ব্যাপারেও পাঠ চলে। কেমন করে কোনও ফার্মাকো ভিজিলেন্স সেন্টার তৈরি করে কাজ শুরু করা যায় ফার্মাকো ভিজিলেন্স বিষয়ের তথ্য বিশ্লেষণের পদ্ধতি, কেমন বা এই বিষয়ের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বা ফার্মাক ওপিডেমোলজি সবটাই এই কোর্সের অন্তর্গত।
জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে ভারতে সচেতনতা তৈরির কাজ অনেকেই নানা ভাবে করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই (হু) যেমন ভারতের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে গড় স্বাস্থ্যের মান কমে যাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সেই পরিকল্পনার মধ্যেই ফার্মাকো ভিজিলেন্স বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই কোর্সের উপর নির্ভর করেই আসলে বিশেষজ্ঞ প্রস্তুত করার কাজটা করা হবে, যাঁরা ওষুধের মান কেমন করে ঠিক রাখতে হয়, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কেবল মাত্র ওষুধের মান বিচার নয়, যাঁরা ওষুধের ক্রেতা, তাঁদের অভাব অভিযোগের দিকে খেয়াল রাখাও এদের কাজ হবে।
কোর্সটি এক বছরের। খরচ কমবেশি এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকার মতো। এ ছাড়া সাইমোজেন, যাঁরা নলেজ প্রসেস আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে চলেছে, তাঁরাও শেষ কয়েক বছরে ফার্মাকো ভিজিলেন্স বিষয়টির উপর নির্ভর করে নানা সময়ের কোর্স ডিজাইন করেছে, যার মধ্যে অবশ্যই ফার্মাকো ওপিডেমোলজি সহ আরও নানা বিষয়ের পাঠ দেওয়া চলছে। ফলে আপনার ইচ্ছা হলে যে কোনও একটা কোর্সই আপনি করে নিতে পারেন। ফার্মাকো ভিজিলেন্স ব্যাপারটা নিয়ে সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়, কোর্সগুলো তিন মাসের থেকে পাঁচ মাসের হতে পারে। কম সময়ের কোর্স করতে ইচ্ছা হলে, আপনি এটাও করে নিতে পারেন।
সূত্র: উদ্দালক ভট্টচার্য, এই সময়, ২ এপ্রিল ২০১৫,
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/27/2019