এই ধরনের কোর্স কোনও ভাবেই কেবল মাত্র থিয়োরি নির্ভর হয় না, বরং অনেকটাই প্র্যাকটিক্যাল নির্ভর হয়। এক জন বিশেষজ্ঞের জন্য এই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকা এবং হাতে কলমে কাজ জানাও একান্ত জরুরি। সাধারণত একটি ব্যাচে মোট তিরিশ জন ছাত্রছাত্রী এক বারে ভর্তি নেওয়া হয়। তবে এখানকার ছাত্রছাত্রীরাই জানাচ্ছেন যে, ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা অনেক হলেও আলাদা করে প্রত্যেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোর্সটি দিল্লিতে বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত করানো হয়, আর মুম্বইতে কোর্সের সময়সীমা জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। একটু আগে থেকে খোঁজ নিতে থাকলে ভর্তির সুবিধা মিলতে পারে। এই ধরনের আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে ফার্মাকো ভিজিলেন্সের ব্যাপারে আরও বহু ধরনের কোর্স করা যেতেই পারে।
পড়ার জন্য পড়া নয়, আসল উদ্দেশ্য তো চাকরি। পড়ার শেষে সবাই এখন চাকরি চান। কোর্স শেষ হওয়ার পরে আপনার কাজ মিলতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কাজের ক্ষেত্রে কম বেশি ৫০ হাজার টাকা থেকে বেতন শুরু হলেও প্রতিষ্ঠিতরা ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। যে হেতু কোর্সের শিক্ষকরা কম বেশি এই বিশেষ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে বেশ প্রতিষ্ঠিত, তাঁদের প্রশিক্ষণকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করে কোম্পানিগুলো। আর আমরা প্রত্যেকেই জানি, আয়ের বিষয়টা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তিগত দক্ষতার ওপরও। সেই বিষয়ে যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, তা হলে যাঁরা এই কাজে আসছেন, তাঁরা এই ভরসাটা রাখতেই পারেন যে, ক্ষেত্রটি এমন যেখানে কাজ জানা মানুষের চাহিদা কখনওই কমবে না, বরং উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকবে।
যে কোনও শাখার ডাক্তাররা, বায়োসায়েন্সের ছাত্রছাত্রীরা ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইটি ইন্ডাস্ট্রির কর্মরত ছাত্রছাত্রীরা এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। সারা ভারতেই এই ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাই যাঁরা এই বিশেষ পেশায় যেতে চাইছেন, তাঁদের জন্য, আর দেরি না করে কাজে নেমে পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রায় সকলেই।
সূত্র : উদ্দালক ভট্টচার্য, এই সময়, ২ এপ্রিল ২০১৫,
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/6/2020