আইআইআইএমের পরিচয়

কম খরচে রাজ্যের পড়ুয়াদের তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা দেওয়ার জন্য ২০০০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গঠন করেছিল ইন্দাস ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট বা ট্রিপল আইএম (IIIM)। এটি একটি রেজিস্টার্ড সোসাইটি, কাজ করে অলাভজনক সংস্থা হিসেবে। প্রতিষ্ঠানের চরিত্রটি মুনাফাকেন্দ্রিক না হওয়ায় কম খরচে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জরুরি কাজটা এরা করে যেতে পারছে গত দেড় দশক ধরে। শুধু রাজ্যের মধ্যেই এদের সুনাম রয়েছে তাই নয়, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের জাতীয় শিক্ষা মিশনের অধীনে এরা নিয়মিত কাজ করে আইআইটি বোম্বের সঙ্গেও। আইআইটি বোম্বের সফটওয়্যার প্রশিক্ষণ ও স্পোকেন টিউটোরিয়াল প্রোজেক্টের সার্টিফিকেট কোর্সগুলি করানো হয় এখান থেকে । ট্রিপল আইএমের নিজস্ব কোর্সগুলির পড়ুয়াদেরও বিনামূল্যে স্পোকেন টিউটোরিয়ালের সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। থাকে আইআইটি বোম্বের অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থাও এবং সেই সঙ্গে মেলে তাদের সার্টিফিকেট। আইআইটি বোম্বের স্পোকেন টিউটোরিয়ালে যা যা শেখানো হয়, তার মধ্যে রয়েছে C/C++, PHP, MY SqL । শুধু আইআইটি বোম্বেই নয়, প্রতিষ্ঠানটি জড়িয়ে রয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্মার্ট গভর্নমেন্ট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রকের অধীন ভারতের প্রথম সারির সংস্থা সিড্যাক হায়দরাবাদের সঙ্গেও। ভারত সরকারের বহুভাষী জ্ঞানভিত্তিক তথ্য কোষ vikaspedia.in-এর পশ্চিমবঙ্গের নোডাল এজেন্সি এই সংস্থাটিই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ এ কে চৌধুরী স্কুল অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে এই সংস্থা।

এ তো গেল প্রতিষ্ঠানের নানা কৃতিত্বের কথা, কিন্তু সেটা দিয়েই তো কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া চলে না। জানা দরকার, কারা প্রশিক্ষণ দেন এখানে, দায়বদ্ধতা কাদের, কারা জড়িয়ে আছেন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রের যে সব খ্যাতনামা ও অভিজ্ঞ মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন, পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ উপাচার্য এবং টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক অশোকরঞ্জন ঠাকুর, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মণিমালা দাস, এ কে চৌধুরী ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কো অর্ডিনেটর অধ্যাপক অম্লান চক্রবর্তী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সাংখ্যায়ন চৌধুরী, এনআইসি-র প্রাক্তন অধিকর্তা এন কে দাস, এনআইসি-র প্রাক্তন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর স্নেহাংশু সেনগুপ্ত। পড়ুয়াদের প্রয়োজন এবং কর্পোরেট ভারতের চাহিদা বুঝে একটি যথাযথ কোর্স তৈরি ও প্রশিক্ষণের খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ করে চলেছেন এঁরা। যে পাঠক্রমে মিলে মিশে থাকবে সফটওয়্যার ট্রেনিং, হাতে কলমে শিক্ষা ও সফ্‌ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট। শুধুমাত্র কর্পোরেট দুনিয়ার জন্য পড়ুয়াদের প্রস্তুত করেই দায়িত্ব শেষ নয় ট্রিপল আইএমের। পড়ুয়াদের চাকরি খুঁজতে সাহায্য করা, ইন্টারভিউ-র ব্যবস্থা করে দেওয়ার ব্যাপারেও উদ্যোগী এই প্রতিষ্ঠান।

যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কলকাতা ও বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়, চিফ পেট্রন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব অমিতকিরণ দেব, মেন্টর (পশ্চিমবঙ্গ সরকার মনোনীত) রাজ্যের প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এ কে পট্টনায়ক, কর্পোরেট ভারতের উপযুক্ত হয়ে ওঠার জন্য সেই প্রতিষ্ঠানের ওপর ভরসা করাই যায়। কী বল ?

আরও তথ্য ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ কর IIIM দফতরে, ১০১এ, মানিকতলা মেন রোড, কলকাতা-৭০০০৫৪

ফোন- ০৩৩-২৩৫৫০৮২৩/৬৫০০৩৯৫৫

সূত্র : আইআইআইএম, কলকাতা