চিকিৎসা ক্ষেত্রের দু’টি দিক। চিকিৎসা পরিষেবা - যেখানে ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা পরিশ্রম করেন, অপর দিকটি হল পরিকাঠামোগত ক্ষেত্র। এই পরিকাঠামো পরিচালনার জন্য স্পেশালিটি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলিতে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রিধারীদের চাহিদা বাড়ছে।
ভবিষ্যতে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়তে হলে দ্বাদশ স্তর থেকেই মন তৈরি করতে হবে। হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়তে চাইলে অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর দ্বাদশ স্তরে পাওয়া বাঞ্ছনীয়। বায়োলজি আবশ্যিক বিষয় হতে হবে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে চাইলে যে কোনও শাখায় স্নাতক হলেই হয়। শুধু মেডিক্যাল নয়, যে কোনও শাখার পড়ুয়ারাই হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়তে পারেন। কোনও কোনও প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স এমনকী দূর শিক্ষারও ব্যবস্থা আছে। যেমন - দ্য ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হেল্থ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর-এ আছে এক বছরের দূর শিক্ষার সুযোগ। আবার তামিলনাডুর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হসপিটাল ও নার্সিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে দু’ বছরের এমবিএ কোর্সের সুযোগ রয়েছে।
এই পেশায় সফল হতে গেলে শিক্ষাগত ডিগ্রি ছাড়াও বেশ কিছু ব্যক্তিগত বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন। কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা থাকা চাই। তার চেয়েও বড় কথা, হাসপাতালের মতো সেবামূলক পরিষেবা ক্ষেত্রে কাজ করতে গেলে দক্ষ পেশাদার হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সহমর্মী মানুষও হতে হবে। চাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। ভালো ব্যবহার, কাজের চাপ সামলানোর মতো মানসিক জোর, সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার সুঅভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে এই পেশায় সাফল্যের পথ সহজ হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পড়ার খরচ আলাদা। তফসিলি জাতি ও উপজাতির পড়ুয়াদের জন্য পড়ার খরচে ছাড়, বৃত্তি ও অর্থনৈতিক সাহায্যের ব্যবস্থা থাকে অনেক সময়। স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে কাজের চাপ কখনও তেমন কমে যায় না, তাই কর্মীর চাহিদাও বাড়তে থাকে। আমাদের দেশে এখনও এমন আড়াই লক্ষেরও বেশি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে দক্ষ হাসপাতাল প্রশাসক ও ম্যানেজারের প্রয়োজন।
সূত্র: যোজনা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019