শিক্ষক শুধুমাত্র পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করছেন আর শিশুরা যা শিখছে সকলই হাতে নাতে।
অনেক সময় দেখা গেছে যে, শিশুরা যে আর্থসামাজিক অবস্থা থেকে উঠে আসে তা তাদের পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে অনুকূল নয়।
দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলি থেকে আসা শিশুদের ইংরাজি শেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
শিশুদের শিক্ষাদানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধূলা বা শিক্ষামূলক ভ্রমণ।
শ্রেণিকক্ষে ও বাড়িতে শেখানোর পদ্ধতির তফাৎটুকু মেটানোর জন্য কর্মসূচি নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
বেশির ভাগ গৃহশিক্ষকই পুরনো নিয়ম অনুসারে বাচ্চাদের শিক্ষা দেন যা বর্তমানে বিদ্যালয়ে নতুন পদ্ধতিগুলি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
মানসিক ভাবে শিক্ষকেরা আরও বেশি যুক্ত হলে এবং পাঠদানের চেষ্টা করলে সাফল্য আসবে।
সংখ্যায় কম হলেও এ কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে কিছু শিক্ষক বাস্তবিকই নতুন পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন।
শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নতুন পদ্ধতি অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত।
ক্লাসে যতটুকু পড়ানোর কথা সেটা করতে পারলে কোনও শিশুর যে ফেল করার কথা নয় তা আমরা পৃথিবীর নানা দেশের অভিজ্ঞতা থেকে জানি।
শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির শিক্ষকদের অনেকেরই ক্ষোভ তাঁরা কোনও প্রকার প্রশিক্ষণই পান না।
পাঠ্যপুস্তকের অপ্রতুলতার বিষয়টি সরকারের যথেষ্ট মনোযোগ সহকারে দেখা প্রয়োজন।
অনেকেরই মতামত সিলেবাস শিশুদের পক্ষে উপযুক্ত নয়। তাঁদের উপর অযথা চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
কিছু কিছু জায়গায় দেখা গেছে অভিভাবকরাই নতুন পদ্ধতি ব্যবহারের ঘোরতর বিরোধিতা করেছেন।
দুর্ভাগ্যবশত এখনও যেটা দেখা যাচ্ছে তা হল বাড়ির পড়ার ওপর জোর।
শিশুগুলিকে তার মাতৃভাষায় শিক্ষা না দিয়ে একটি অন্য ভাষা তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।
ভাষার ক্ষেত্রে আর একটি সমস্যা যা শিক্ষকেরা প্রায়ই মোকাবিলা করে থাকেন তা হল ভাষায় আঞ্চলিকতার প্রাধান্য।
ছাত্রছাত্রীকে শাস্তি প্রয়োগেই পড়াশোনা শেখানো সম্ভব— এ কথা ঠিক নয় বলে অনেকেই মনে করছেন। তাঁরা মনে করছেন শিশুকে তার মতো করে কাছে টেনে নিয়ে শেখানো দরকার।
নীতি-নির্ধারকরা এটা ধরেই নিয়েছেন যে শিক্ষকেরা প্রথমে অন্য ভাষাটি নিজেরা শিখে তার পর সেই ভাষায় শিশুগুলিকে পাঠ্য ভাষাটি শেখাবেন?
নতুন পদ্ধতি শুধু মাত্র শিশুদের সাহায্য নয়, সাথে সাথে শিক্ষকদেরও কিছু মাত্রায় সাহায্য করেছে।
শিখন সামগ্রী ব্যবহার করে উন্নতি হয়েছে — এ কথা প্রায় সকল শিক্ষকই সমথর্ন করেছেন।
শিক্ষকদের একাংশ এখনও মনে করেন, যে শাস্তি ছাড়া লেখাপড়া হবে না।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ন্যূনতম প্রচেষ্টাটুকু শিশুদের শিখিয়ে দেওয়া যায়। এবং অনেক শিক্ষকই সেই কাজটি করে চলেছেন।
শিশুদের স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য পঞ্চায়েতের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
স্কুলের পড়া স্কুলে শেষ হলে শিশু যে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করে তা তাকে বাড়িতে অন্য বই পড়তে প্রণোদিত করে।