শিখছেন শিক্ষকরাও

মুর্শিদাবাদের এ কে কিউ মহম্মদ কবীর হোসেন বলছেন :

‘বিশেষ করে English Subject পড়াবার সময় আমাদের অনেক বেশি যত্নবান হতে হবে। English Teaching – এর ক্ষেত্রে যে নীতির কথা বলা হয়েছে সেটা খুবই বিজ্ঞানসম্মত। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি — English–এর মাধ্যমে English শেখানোর পদ্ধতি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই আনন্দদায়ক। সহজ সহজ Word, সহজ ও ছোট Sentence-এর ব্যবহার (বার বার ব্যবহার) ছাত্রছাত্রী তথা শিক্ষকশিক্ষিকাদের English ভীতি অনেকটা কাটাতে সক্ষম।’

সুতরাং তাঁর লেখা থেকে বোঝা যায় যে, নতুন পদ্ধতি শুধু মাত্র শিশুদের সাহায্য নয়, সাথে সাথে শিক্ষকদেরও কিছু মাত্রায় সাহায্য করেছে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ে ক্লাসে তারা যতটা আকৃষ্ট হয় তার থেকে অনেক গুন আগ্রহী তারা ইংরাজি ক্লাসের ক্ষেত্রে। নতুন পদ্ধতিতে শিশুদের ভাষাটি শেখানো হয় শব্দ চেনার মাধ্যমে। মাতৃভাষার ক্ষেত্রেও কিন্তু শিশু তার মা ও অন্যান্য কাছের মানুষের ব্যবহৃত শব্দগুলিই প্রথমে চেনে। তাই ইংরাজি পড়ানো পদ্ধতিটিও যথেষ্টই বিজ্ঞানসম্মত বলে অনেকে বলেছেন। কাকদ্বীপের সন্ধ্যা নস্কর বলছেন যে দুই পিরিয়ডের ঘণ্টা পড়লে তাকে আর ক্লাসে ইংরাজি পড়াতে যাব, এ কথা মনে রাখতে হয় না। ছেলেমেয়েরাই তাকে খুঁজতে খুঁজতে নিয়ে যায় ক্লাসের জন্য। ‘আমার স্কুলে একটি ছেলে মেয়েকে ধরে ধরে ইংরাজি ছোট হাতের অক্ষর গুলিনা দেখে লেখাতে পারিনি, কিন্তু ছড়াগুলি খেলার ও গানের মাধ্যমে তাদের মনঃপুত করেছি। শিশুরা শব্দগুলির বানান না জানলেও আমি বডি ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে দেখালে তারা মুখে ইংরাজিতে বলতে শিখেছে।’ হয়তো শিশুটি ইংরাজি শব্দটির বানান লিখতে বা বলতে পারছে না কিন্তু শব্দটিকে তো চিনতে শিখছে। উচ্চারণ করতে পারছে। এগুলিই ভাষা শিক্ষার কয়েকটি ধাপ। শিশু, যে কোনও ভাষাই এমনকী মাতৃভাষাও কিন্তু এ ভাবেই শেখে। তবে মাতৃভাষার ক্ষেত্রে ভাষাটির সাথে নিয়মিত পরিচিত হওয়া সুযোগ থাকে তাই মাতৃ ভাষা রপ্ত করতে শিশুর দেরি হয় না। কিন্তু ইংরাজী একটি বিদেশি ভাষা এবং গৃহে অব্যবহারের জন্য খুব স্বাভাবিক ভাবেই শিশু ভাষাটি রপ্ত করতে বেশ কিছুটা সময় নেবে। শিক্ষকদের তাই ধৈর্য্য ধরে শিশুদের সেই সময় টুকু দেওয়া উচিত, বলে মেন করেছেন শিক্ষকদের একটা অংশ।

সূত্র : কলমচারি, প্রতীচী ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১২