আবেদন পাঠানো থেকে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগেভাগে পুরো বিষয়টি গুছিয়ে নিলে সমস্যা অনেক কমে যায়। দরকার সুষ্ঠু একটা পরিকল্পনা। তাই হাতে সময় থাকতেই যাবতীয় খোঁজ খবর শুরু করে দাও। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘ল’ (Fall) সেমেস্টার শুরু হয়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য এই সেমেস্টারকেই বেছে নেয়। আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা এই সেমেস্টারেই বেশি থাকে। আর, ‘স্প্রিং’ সেমেস্টার শুরু হয় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস থেকে।
দেখে নেওয়া যাক, আবেদন করার এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত কী কী থাকে, ১) অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম, ২) জিআরই, জিম্যাট, স্যাট-এর মতো যে টেস্টগুলো দিয়েছো, তার স্কোর, ৩) টোয়েফল বা আইইএলটিএস-এর মতো কোনও ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিশিয়েন্সি টেস্টের স্কোর ৪) কিছু লেটার অব রেকমেন্ডেশন ৫) স্টেটমেন্ট অব পারপাস ৬) কোনও কোনও ক্ষেত্রে তোমার লেখার স্যাম্পেল। যে বিভাগ বা স্কুলের জন্য আবেদন করবে, তাদের সবারই নিজস্ব অনলাইন লিঙ্ক থাকে। হাতে গোনা কয়েকটা জায়গাতেই এখনও কাগজের আবেদন নেওয়া হয়। অনলাইনে প্রত্যেকটা সেকশন দেখেশুনে ফিল আপ করে একসঙ্গে ফি-টাও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে জমা করে দাও। যদি কারও ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ না থেকে, সে ক্ষেত্রে ফর্মটা ডাউনলোড করে, ফিল আপ করে অন্য ভাবে টাকা জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে লাস্ট ডেটের অন্তত সপ্তাহ দুয়েক আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এই আবেদন মেল করে রাখো। হাতে সময় নিয়ে মেল করো। বছরের একেবারে শেষ সপ্তাহ বা নতুন বছরের শুরুর দিকে এই সব কাজ না করাই ভালো। তখন পোস্টাল মেল-এ খুব চাপ থাকে, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলোও কিছু দিনের জন্য বন্ধ থাকে। নিজের কাছেও এই সমস্ত তথ্যের ফটোকপি রেখো। অনলাইন আবেদন পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রকে সাধারণত একটা কনফার্মেশন ই-মেল পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখো, তারা তোমার পুরো আবেদনটাই পেয়েছেন কি না। আবেদনপত্রের কোনও অংশ যদি হারিয়ে যায়, তা হলে সেটা যাতে আরেক বার পাঠাতে পারো, তেমন ব্যবস্থা রেখো নিজের কাছে।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020