বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আর্থিক সহায়তা - দুইয়ের ক্ষেত্রেই ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ (এসওপি) বা ‘পারসোনাল এসে’-র দরকার হয়। লেটার অব রেকমেন্ডেশন হল, তোমার সম্পর্কে অন্য এক জনের মতামত। কিন্তু নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা ও যোগ্যতর প্রমাণ করার ক্ষেত্র হল এই এসওপি। যে প্রতিষ্ঠানে তুমি পড়তে যেতে চাইছ, সেখানকার অভিজ্ঞ ও প্রথিতযশা শিক্ষকরা তোমার সম্পর্কে, তোমার নিজের বক্তব্য জানবেন স্টেটমেন্ট অব পারপাস বা পারসোনাল এসে থেকে। তোমার কতটা বস্তুনিষ্ঠ চিন্তা করার ক্ষমতা আছে, তাদের কাছে তা জানার মাধ্যম কিন্তু এটাই।সত্য মিথ্যা যাচাই-এর আগে, তোমার দৃষ্টিভঙ্গিটা বোঝা তাদের কাছে জরুরি।
অল্প বয়স থেকেই আমার ইচ্ছা বড় হয়ে অঙ্ক নিয়ে উচ্চ শিক্ষা করব, বরাবরই অর্থনীতিতে আমার নম্বর খুব ভালো থেকেছে, তাই এই বিষয়টা নিয়ে হায়ার স্টাডিজ করতে চাই - এই ধরনের কথা লিখবে না। অধিকাংশ এসওপি-তেই এই বহুচর্চিত কথাগুলো থাকবে। তোমার এসওপি পরে যেন নির্বাচকের মনে হয় তোমার একটা নিজস্বতা আছে। যদি পড়াশোনায় কখনও খারাপ ফল করে থাকো বা ব্রেক নিয়ে থাকে, তার কারণটা লিখো। নির্দিষ্ট শব্দ সংখ্যার মধ্যেই পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দাও তুমি কেন, কী নিয়ে, কী ভাবে কাজ করতে চাও। এসওপি লেখার সময় খোঁজ খবর নিয়ে দেখো, পড়াশোনার দুনিয়ায় নতুন কী কাজ হচ্ছে, নতুন কী পেপার বেরোচ্ছে। আর লেখার সময় খেয়াল রেখো যেন কোনও ব্যাকরণগত ভুল না থাকে। তা হলে নির্বাচকের ইমপ্রেশনটাই মাটি। আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন থাকলে, তার আবেদনও এর সঙ্গে করতে পারো। তা ছাড়া, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন এসওপি লিখতে হবে, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইডলাইন দেখলেই তা বুঝতে পারবে। একটাই এসওপি লিখে সব জায়গায় পাঠিও না। যখন কোনও মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসওপি পাঠাচ্ছো, তখন যেমন লিখবে, ব্রিটেনের কোনও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু আলাদা হবে।
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ২০ জানুয়ারি, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/22/2020