শিক্ষার একাধিক পদ্ধতি আছে। বেনজামিন ব্লুমের (১৯৫৬) নেতৃত্বে বিভিন্ন কলেজ নিয়ে গঠিত কমিটি শিক্ষামূলক ক্রিয়াকাণ্ডের তিনটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করেন ---
বিদ্বজ্জনেরা যে হেতু কাজটির সূত্রপাত করেছেন তাই সাধারণত এই শব্দগুলি যে অর্থে ব্যবহার হয় তার চেয়ে ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ক্ষেত্র বলতে বিভাগ বোঝানো যেতে পারে। প্রশিক্ষকেরা প্রধানত শিক্ষার এই তিন ক্ষেত্রকে কেএসএ বলে থাকেন (Knowledge, Skills, and Attitude /জ্ঞান, দক্ষতা, মনোভাব)। শিক্ষাপদ্ধতির এই শ্রেণিবিন্যাসকে “প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য” হিসাবে ভাবা যেতে পারে। প্রশিক্ষণের পরে শিক্ষার্থী যেন নতুন দক্ষতা, জ্ঞান আরোহণ করেন এবং তাঁর মানসিক বিকাশ ঘটে।
কমিটি শিক্ষার জ্ঞানবিষয়ক ও অনুভূতি সম্বন্ধীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেও মানসিক ক্রিয়া-সঞ্জাত বিষয়ে নীরব। এর কারণ হিসেবে কলেজ স্তরে শারীরিক দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিখনের ব্যাপারে তাঁদের স্বল্প বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষার এই তিনটি ক্ষেত্রকে আবার সরল আচরণগত দিক থেকে শুরু করে জটিলতম দিক পর্যন্ত আরও অনেক উপবিভাগে বিভক্ত করা যায়। এই বিভাজনই চূড়ান্ত নয় এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আরও অনেক পদ্ধতি বা উচ্চতর বিভাজন রয়েছে। তথাপি ব্লুমের শ্রেণিবিন্যাস সহজবোধ্য এবং বর্তমানে সম্ভবত সর্বাপেক্ষা বেশি ব্যবহৃত।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/15/2020
শিক্ষা পদ্ধতির তিনটি ধরন নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়...