কেবলমাত্র আইসিটির উপস্থিতিই শিক্ষাপদ্ধতির পরিবর্তন ঘটায় না। অবশ্য আইসিটি কিছু শর্তসাপেক্ষে শিক্ষাদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে শিক্ষকদের সক্ষম করে তুলতে পারে। শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি ও যুক্তি তাঁদের আইসিটি-র ব্যবহারকে প্রভাবিত করে এবং কী ধরনের আইসিটি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের ওপর প্রভাব ফেলে।
ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ভুক্ত দেশগুলিতে গবেষণার ফলাফল এই সহমত পোষণ করে যে, আইসিটি-এর সেই সব ব্যবহার সবচেয়ে বেশি কার্যকর, যার মাধ্যমে শিক্ষকেরা ছাত্রদের বোধগম্যতা ও চিন্তাভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন -- হয় শ্রেণিতে আলোচনার মাধ্যমে অথবা আইসিটি ব্যবহার করে একক বা ছোট ছোট গোষ্ঠীবদ্ধ কাজের মাধ্যমে। সাবেক ‘শিক্ষককেন্দ্রিক’ শিক্ষাপদ্ধতি থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষাপদ্ধতিতে পরিবর্তনে সাহায্যকারী ও একে সক্ষম করে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসাবে আইসিটিকে দেখা হয়।
আইসিটি ব্যবহার করে শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি, সাবেক শিক্ষাদান পদ্ধতির অঙ্গ হিসাবেই শিক্ষাদান পদ্ধতিকে সামান্য উন্নত করে তোলা থেকে শিক্ষাদানের পদ্ধতিতে মূলগত পরিবর্তন -- এ সব কিছুই হতে পারে। চলতি শিক্ষাদান পদ্ধতিকে দৃঢ় করে তোলা, এমনকী ছাত্র-শিক্ষকের আদান-প্রদানের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করতেও আইসিটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
পরিবেশনের কাজে আইসিটির ব্যবহারের (ওভারহেড এবং এলসিডি প্রজেক্টর, টেলিভিশন, বৈদ্যুতিন হোয়াইট বোর্ড, নির্দেশিত ‘ওয়েব ট্যুর’ এর মাধ্যমে, যেখানে ছাত্ররা একই বিষয় কম্পিউটারের পর্দাতেও দেখতে পায়) মিশ্র কার্যকারিতা দেখা যায়। যদিও এতে শ্রেণিকক্ষে বিষয় বুঝতে এবং জটিল ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করতে সুবিধা হয় (বিশেষত অনুকরণকৃত বিষয়গুলি পর্দায় দেখে)। আইসিটির এই ধরণের ব্যবহার সাবেক শিক্ষাদান পদ্ধতিকেই দৃঢ় করে এবং ব্যবহৃত উপায়টিতে যে বিষয় দেখানো বা আলোচনা হচ্ছে, তা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/29/2020