মানুষ দেখে, কথা শুনে এবং অন্যদের নকল করে ভালো ভাবে শিখতে পারে। “জ্ঞানমূলক শিক্ষা হচ্ছে শোনা, দেখা, স্পর্শ করা এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা”। জ্ঞানগত শেখা একটা শক্তিশালী পদ্ধতি যেটা জ্ঞানসঞ্চয়ের উপায় জোগায় এবং তা শুধুমাত্র অন্যকে নকল করাই নয়, তার থেকে অনেক বেশি। আমাদের ওয়েবসাইট পড়ে যা শিখছেন পরিস্থিতি তা কখনও ব্যাখ্যা করতে পারে না। এই শেখা জ্ঞানগত শেখার গুরুত্ব বোঝায়।
জ্ঞানগত শেখাকে বর্ণনা করা হয় মানসিক বা জ্ঞানগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করা এবং মাথায় সাজিয়ে নেওয়া। বাস্তব জিনিস ও ঘটনার মানসিক প্রতিফলন এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ জ্ঞানগত প্রক্রিয়ার অন্তর্গত।
জ্ঞানগত শেখার ব্যবস্থায় শুনে, দেখে, ছুঁয়ে, পড়ে এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে, সেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে মনে রাখা হয়। জ্ঞানগত শেখা নিষ্ক্রিয় মনে হতে পারে, কারণ তার মধ্যে কোনও গতিসঞ্চালক নেই। যাই হোক, শিক্ষার্থী নতুন তথ্য প্রক্রিয়াকরণে বা মনে রাখার ব্যাপারে সক্রিয় থাকে।
জ্ঞানগত শেখা আমাদের একটা জটিল সংস্কার, তৈরি ও প্রসার করতে সাহায্য করে, যার মধ্যে চিহ্ন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও প্রথা থাকে। যে হেতু মানুষের অনেক অভ্যাসে জ্ঞানগত প্রক্রিয়া যুক্ত থাকে, এটা মনে হতে পারে যে শুধু মানুষের পক্ষেই জ্ঞানগত ভাবে শেখা সম্ভব। কিন্তু অনেক পশুই দেখে শিখতে সক্ষম। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় চিড়িয়াখানার বানরকে মাঝে মাঝে দেখা যায় কোনও মানুষ-দর্শককে বা অন্য পশুকে নকল করতে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019