৬টা E এবং ১টা S (এনগেজ, এক্সপ্লোর, এক্সপ্লেন, ইলাবোরেট, ইভ্যালুয়েট, এক্সটেন্ড এবং স্ট্যান্ডার্ডস) ভিত্তিক শেখানোর ধরন তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে। ওটা গঠনমূলক প্রক্রিয়ায় শেখানোর অন্তর্গত। পাঠক্রম পরিকল্পনাগুলো গঠনমূলক প্রক্রিয়ার নির্দেশনার ধরনে বানানো যাতে শিক্ষার্থীরা ক্রমাগত নতুন জ্ঞান যোগ করে।
৬টি E-র প্রত্যেকটি শেখার একেকটি ধাপ বর্ণনা করে এবং প্রতিটি ধাপের নাম ‘E’ অক্ষর দিয়ে শুরু হয় : এনগেজ, এক্সপ্লোর, এক্সপ্লেইন, এলাবোরেট, ইভ্যালুয়েট এবং এক্সটেন্ড। ৬টি E শিক্ষক ও ছাত্রদের সম্মিলিত কার্যকলাপে প্রবৃত্ত করতে, উপলব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করতে ও তাকে বাড়াতে এবং তাদের কোনও ধারণা বোঝার ক্ষমতাকে ক্রমাগত যাচাই করে নিতে উৎসাহ দেয়।
এনগেজ: অতীত এবং বর্তমান শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন, কার্যকলাপের অনুমান করা এবং বর্তমান কার্যকলাপের উপর ছাত্রদের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করা। ছাত্রদের মানসিক ভাবে ধারণা, প্রক্রিয়া এবং যা শিখতে হবে তাতে এনগেজড্ হতে হবে। সাধারণত এক্সপ্লোর বিভাগের কয়েকটা মূল প্রশ্ন এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত থাকে যাতে ওই বিভাগের আলোচনায় সুবিধা হয়।
এক্সপ্লোর: এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের বিষয়টা ভালো ভাবে অনুসন্ধান করবে। শিক্ষার্থীদের বিষয় বস্তুকে মুক্ত মনে পরীক্ষা করার সুযোগ দিতে হবে এবং খুব বেশি নির্দেশ না দিয়ে। কিছু নির্দেশ ওদের দরকার হবে। শিক্ষক ঘুরে ঘুরে, প্রশ্ন করে, ওদের কথাবার্তা শুনে এবং ঠিক দিকে যাচ্ছে কি না লক্ষ রেখে সাহায্য করবেন।
এক্সপ্লেন: এই পর্যায়ে শিক্ষার্থী যা নিয়ে কাজ করছে সেটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবে। যে ধারণা ওদের তৈরি হয়েছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করবে। এদের সুযোগ হবে নতুন ধারণা, নতুন দক্ষতা বা ব্যবহার ভাষায় প্রকাশ করার। এই সময় শিক্ষকরা ওদের নতুন নাম, সংজ্ঞা, বিভিন্ন ধারণার ব্যাখ্যা, প্রক্রিয়া, দক্ষতা এবং ব্যবহার শেখাতে পারেন।
ইলাবোরেট : এই সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদেরকে দেওয়া কাজ নিজেরা করবে। এটা নতুন তথ্য প্রয়োগ করার এবং প্রাপ্ত ফল ও সিদ্ধান্ত অন্যদের জানানোর সময়। প্রকল্প সম্পূর্ণ করার, সেটা দেখানোর এবং যাচাই করানোর সব চেয়ে ভাল সময়।
ইভ্যালুয়েট : যদিও পুরো প্রক্রিয়ার সময়েই যাচাই করা হয়, তবু এটা হচ্ছে শিক্ষকের যাচাই করার পর্ব। শিক্ষার্থীরা সাধারণত তাদের কাজ জমা করবে এই সময়ে। এই পর্বে তারা নিজেদের কাজ নিজেরা যাচাই করবে, দলবদ্ধ ভাবে যাচাই করবে এবং নিজেরাই তার পদ্ধতি নির্ধারণ করবে – এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এক্সটেন্ড: এই পর্ব ছাত্রদের নিজেদের পাঠক্রমের বাইরে এগোতে বলে। উদ্দেশ্যটা হচ্ছে নিজেদের কাজ অন্যদের কাছে উপস্থাপিত করা। সাধারণত কিছু করার উত্তেজনা থেকে এটা শিক্ষার্থীদের নিজে নিজেই আসবে। এই পর্বটাতে ছাত্রদের উদ্যোগই প্রধান হয়, যদিও শিক্ষকরা মৃদু ভাবে তাদের প্ররোচিত করতে পারেন যে নিজেদের স্কুলের বাইরে গিয়ে তারা অন্য জায়গায় তাদের কাজ উপস্থাপিত করুক এবং প্রতিযোগিতায় নামুক। .
স্ট্যান্ডার্ডস : স্ট্যান্ডার্ডগুলো বর্তমানে সমন্বিত করা হচ্ছে। এই পর্বে রাজ্য বা জাতীয় মানের সঙ্গে পাঠক্রম মেলানো হয়। বিশেষত শিক্ষকদের জন্য যাতে তাঁরা স্থানীয় বোর্ড, জেলা বা স্কুলের পাঠ্যক্রমের সাথে সমমানে থাকতে পারেন।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/4/2020