মূলত দু’টো বিষয়ের উপর নজর দেওয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। এক, অঙ্কের ভিত তোমার ভালো কি না। কারণ ইকোনমিক্স-এ অঙ্ক লাগেই। খুব বেশি না হলেও ক্যালকুলাস, লিনিয়ার অ্যালজেব্রা, ম্যাট্রিক্স অ্যালজেব্রা তো ভীষণ ভাবে ব্যবহার করা হয় ইকোনমিক্স-এ। আর দুই, ইংরাজির উপর তোমার অবশ্যই দখল থাকতে হবে। কারণ ইকোনমিক্স-এর প্রায় সব ক’টি পাঠ্যবই ইংরাজিতে লেখা। তা ছাড়া, ভাষার উপর দখল না থাকলে বিষয়টা কতটা বুঝেছে সেটা ছাত্র বা ছাত্রীটি ঠিক মতো প্রকাশই করতে পারবে না। আর দরকার আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন প্রসঙ্গের উপর স্বাভাবিক আগ্রহ। তা হলে সেই ছাত্রের পক্ষে অর্থনীতিতে ভালো করা সম্ভব।
যারা বিজ্ঞান পড়ে আসছে তাদের কাছে গোটা বিষয়টাই নতুন। আর যাদের স্কুল স্তরে ইকোনমিক্স ছিল, তাদের একটা প্রাথমিক ধারণা থাকে। স্কুল স্তরে পড়ুয়ারা যে ইকোনমিক্স পড়ে, সেটা অনেক বেশি বর্ণনামূলক। আর কলেজে সেটাই অনেক বেশি বিশ্লেষণাত্মক। তাই অনেক সময়ই তারা ধন্দে পড়ে যায়। অতএব স্কুলে যেটা পড়েছো, সেটা নিয়ে আর ভেবো না। কলেজে এসে গোটা বিষয়টা নতুন করে শুরু করো। এমনিতেও আমরা কলেজে সবার বোঝার সুবিধার জন্য বিষয়টা একদম গোড়া থেকেই আলোচনা করি।
আগের তুলনায় এখন অর্থনীতি পড়ে কাজের সুযোগ অনেক বেড়ে গেছে। আগে হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি চাকরি বা রেলের চাকরিতে, ব্যাঙ্ক অথবা শিক্ষকতার দিকে যেতে পারতো ছেলেমেয়েরা। এখন সেখানে অনেক ধরনের পথ খুলে গিয়েছে। বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি, বিমা, ফিনান্স বা বাণিজ্যিক সংস্থার অ্যানালিটিক ডিভিশনে কাজ করে অর্থনীতির ছেলেমেয়েরা। শুধু সরকারি নয়, অনেক বেসরকারি এবং বহুজাতিক ব্যাঙ্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করছে তারা। অনেকে যোগ দেয় ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সার্ভিস বা ডব্লিউবিসিএস-এর মতো সরকারি চাকরিতেও। কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ থাকলেও স্কুল স্তরের অর্থনীতি সে ভাবে পড়ানো হয় না বলে স্কুলে অর্থনীতি পড়ানোর সুযোগ কমই পাওয়া যায়।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ৩১ মার্চ ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/4/2020