অর্থনীতি নিয়ে বিদেশে পড়াশোনার বিস্তর সুযোগ রয়েছে। অধিকাংশ ছেলেমেয়েই যায় এমএসসি-র পর পিএইচডি বা উচ্চতর গবেষণা করতে। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকায় পড়তে গেলে জিআরই, টোয়েফ্ল দিতে হয়। এ ছাড়াও ছেলেমেয়েরা কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড্সের মতো দেশগুলিতে পড়তে যায়। এখানে তারা মূলত স্নাতক স্তরের পরে মাস্টার্স পড়ে। আমেরিকায় মাস্টার্স পড়তে গেলে স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে মোট ১৬ বছরের পড়াশোনা থাকা প্রয়োজন। আমাদের এখানে গ্র্যাজুয়েশন তিন বছরের বলে, ওই শর্তটা পূরণ হয় না। সে ক্ষেত্রে এখানে ছাত্র বা ছাত্রীটিকে এক বছর মাস্টার্স পড়ে, তার পর বিদেশ যেতে হয়। তাই যারা আমেরিকায় পড়তে যায়, তারা প্রথমে এখান থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে, তার পর ওখানে হায়ার স্টাডিজ করে।
ইংল্যান্ডে কিন্তু এই ব্যাপারটা নেই। তা ছাড়া ওখানকার মাস্টার্স ডিগ্রি এক বছরের। ফলে ছেলেমেয়েরা ওখানে এক বছরের মাস্টার্স পড়ে নিয়ে পরে পিএইচডি বা অন্য হায়ার স্টাডিজে যোগ দেয়। আমেরিকায় বা ব্রিটেনে স্নাতকোত্তর স্তরে বৃত্তির সুযোগ খুব কম। বরং পিএইচডি স্তরে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ বা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ-এর সময় স্কলারশিপ পাওয়া তুলনামূলক ভাবে সহজ।
পিএইচডি স্তরে ছেলেমেয়েরা মূলত দুটি শাখায় উচ্চশিক্ষা করে : মেনস্ট্রিম (নিওক্লাসিকাল) ইকোনমিক্স ও হেটেরোডক্স ইকোনমিক্স বা পলিটিক্যাল ইকোনমি। আমেরিকায় এমআইটি, হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, ইয়েল, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া, ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটি বা ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর মতো অনেক প্রতিষ্ঠানেই মেনস্ট্রিম ইকোনমিক্স নিয়ে গবেষণা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই মেনস্ট্রিম ইকোনমিক্স পড়ে অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী। আর যারা হেটেরোডক্স ইকোনমিক্স বা পলিটিক্যাল ইকোনমি নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে চায়, তারা যোগ দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ওয়াশিংটন ডিসি, ইউটাহ্ ইউনিভার্সিটি বা ম্যাসাচুসেট্স বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি, সাসেক্স ইউনিভার্সিটি অথবা লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ-এ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ৩১ মার্চ, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020