অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

পদার্থবিদ্যা: গবেষণার সুযোগ প্রচুর

স্নাতক স্তরে কোথায় কোথায় পদার্থবিদ্যা পড়া যাবে

রাজ্যের অধিকাংশ কলেজেই স্নাতক স্তরে পদার্থবিদ্যা পড়ানো হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স, রামকৃষ্ণ মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ নরেন্দ্রপুর, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, লেডি ব্রেবোর্ন, বেথুন, আশুতোষের মত প্রায় সব কলেজেই পদার্থবিদ্যা বিভাগ রয়েছে। সেন্ট জেভিয়ার্স, রামকৃষ্ণ মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ নরেন্দ্রপুর, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির এখন স্বশাসিত কলেজ। তা ছাড়া কল্যাণী, বর্ধমান, বিদ্যাসাগর, নর্থ বেঙ্গল, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির অধীনে আরও অনেক কলেজই রয়েছে, যেখানে ফিজিক্সে বিএসসি কোর্স আছে। গত কয়েক বছরে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে কলেজগুলি এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে গিয়েছে। যেমন, কিছু কলেজ আগে যেগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল, এখন কল্যাণীর অধীনে। তবে এর জন্য কোর্সের ক্ষেত্রে খুব বড় রকমের হেরফের কিছু হয়নি। যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি , বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।

এ ছাড়া দেশের অন্য কিছু নাম করা প্রতিষ্ঠানেও ফিজিক্স-এর মতো বিজ্ঞানের কোর বিষয় নিয়ে একটু অন্য ধরনের পড়াশোনা করা যায়। যেমন, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু। এদের স্নাতক কোর্সটির নাম ‘ব্যাচেলর অব সায়েন্স (রিসার্চ) প্রোগ্রাম’। চার বছরের কোর্স। প্রথম কয়েকটা সিমেস্টারে পড়ুয়াদের ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ্‌স, বায়োলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং হিউম্যানিটিজ - সব বিষয়ই পড়তে হয়। তার পর পারফরমেন্স অনুযায়ী তারা স্পেশালাইজেশনের বিষয় বেছে নিতে পারে। কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রোৎসাহন যোজনা (কেভিপিওয়াই), অল ইন্ডিয়া প্রি মেডিক্যাল/প্রি ডেন্টাল টেস্ট (এআইপিএমটি), আইআইটি জয়েন্ট-এর মতো বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।

আবার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এ ফিজিক্সে পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এমএস প্রোগ্রাম রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতে পাঁচটি আইআইএসইআর। এই ডুয়াল ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে কেভিপিওয়াই, আইআইটি জয়েন্ট পরীক্ষা দিতে হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য ও সেন্ট্রাল বোর্ড থেকেও ছেলেমেয়েদের একটা নির্ধারিত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও প্রথম দু’ বছর পড়ুয়াদের বিভিন্ন কোর বিষয় পড়তে হয়।

আর ন্যাশনাল এন্ট্রান্স স্ক্রিনিং টেস্ট-এ বসতে হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, ভুবনেশ্বর এবং ইউনিভার্সিটি অব মুম্বই ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাটমিক এনার্জি সেন্টার ফর এক্সেলেন্স ইন বেসিক সায়েন্সেস-এ ফিজিক্যাল সায়েন্সের বিষয়টা নিয়ে পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এমএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারো।

প্রস্তুতি

টেক্সট বইটা ভালো করে ফলো কর। সঙ্গে যে সব রেফারেন্স বইয়ের কথা শিক্ষকরা বলে দেন সেগুলোও দেখো। বিষয় সম্পর্কে তোমার বেসিকটা পরিষ্কার করো। তার জন্য একই চ্যাপ্টারের উপর একাধিক বই পড়ে ফেলো। আর, বড় কথা স্পিড। পরীক্ষক তোমার মূল বিষয়ের উপর দখল যাচাই করবেন এমসিকিউ-এর মাধ্যমে। সুতরাং দ্রুত এমসিকিউ সল্‌ভ করতে পারছো কি না দেখে নাও।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/20/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate