যদি কেউ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে চায়, তা হলে তাকে স্নাতক স্তরে বেসিক বিএসসিটা পাশ করতেই হবে। বিএসসি-র পরে অবশ্য বি টেক পড়া যায়। যেমন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ বছরের বি টেক কোর্স আছে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। কেমিস্ট্রি নিয়ে বিএসসি পাশ করার পর ছেলেমেয়েরা এখানে ভর্তি হতে পারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বি টেক করা যায় ফুড টেকনোলডি ও বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। এ ছাড়া, কম্বাইন্ড বায়োটেকনোলজিতে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করে বিভিন্ন জায়গায় বায়োটেকনোলজিতে এম টেক করা যায়। অনেক জায়গায় ফার্মাসি নিয়েও উচ্চশিক্ষা করার সুযোগ রয়েছে কেমিস্ট্রির ছেলেমেয়েদের। তা ছাড়া এটা তো ঠিক যে, এই ধরনের পড়াশোনার সুযোগ প্রতি দিনই বাড়ছে। তাই তোমাকে চোখ কান খোলা রেখে চলতে হবে এবং দেখতে হবে কোথায় কী সুযোগ রয়েছে। এবং অবশ্যই বিজ্ঞানের কোর বিষয়গুলি সম্পর্কে একটা স্বাভাবিক আগ্রহ ও দক্ষতা তোমার থাকতেই হবে।
বিএসসি-র পরে বিদেশে ছেলেমেয়েরা এমএসসি করতে যায় বটে, তবে সেই সংখ্যাটা খুব একটা বেশি নয়। অধিকাংশ ছেলেমেয়েই যায় এমএসসি পাশ করার পরে, পিএইচডি বা আরও উচ্চতর গবেষণা করার জন্য। দেশের ক্ষেত্রে এদের প্রথম পছন্দই থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়াও ছেলেমেয়েরা কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ব্রিটেন সহ ইউরোপের নানা দেশে পড়তে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে হলে জিআরই, টোয়েফ্ল দিতে হবে। অনেকে আবার এরই সঙ্গে সাবজেক্ট জিআরই দিয়ে রাখে। এমনি জিআরই-টা মূলত অ্যাপটিটিউড টেস্ট। আর সাবজেক্ট জিআরই-টা বিষয়ভিত্তিক। অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান এটা দেখতে চায়, ছাত্র বা ছাত্রীটি তার বিষয় সম্পর্কে কতখানি জানে। পড়ুয়াদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হল ব্রিটেন। যারা ব্রিটেনে পড়তে যায়, তাদের আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হয় ইংরাজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই-এর জন্য। তার পর অ্যাকাডেমিক রেকর্ডের ভিত্তিতে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ছাত্রকে ভর্তি করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও এই একই পদ্ধতিতে ভর্তি হয় ছেলেমেয়েরা, তবে সেখানে তাদের আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হয় না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ৩ মার্চ, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020