প্রকল্পের লক্ষ্য হল সরকারি স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত গ্রামঞ্চলের নবম-দশম শ্রেণির পড়ুয়া এবং মাধ্যমিক-পরবর্তী স্তর থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত মেধাবী পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্য করা।
গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি ব্লকের প্রতিটি সরকারি স্কুলে নবম-দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্য অনুযায়ী মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে মাধ্যমিক-পরবর্তী স্তর থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। পড়ুয়ার যে রাজ্যে জন্ম বা যে রাজ্য থেকে সে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সেই রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার তাকে বৃত্তি দেবে। গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার চিহ্নিত করবে।
নবম ও দশম শ্রেণির বৃত্তি শুধুমাত্র গ্রামাঞ্চলের সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের দেওয়া হবে। মোট প্রাপ্ত নম্বর বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখায় ৬০ শতাংশ এবং কলা শাখায় ৫৫ শতাংশ হলে এবং অন্যান্য শর্ত পূরণ করলে পড়ুয়াদের জাতীয় মেধা বৃত্তির জন্য বিবেচনা করা হবে। কোন কোন পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পড়ুয়ারা কোন স্তরের জন্য বৃত্তি পেতে পারে তা নীচে দেওয়া হল-
দশম শ্রেণি/ম্যট্রিকুলেশন/মাধ্যমিক পরীক্ষা --- +২ স্তর/প্রাক বিশ্ববিদ্যালয়/ডিগ্রি-পূর্ববর্তী স্তরের জন্য
উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষার ১০+২ কাঠামোর দ্বাদশ শ্রেণি/ইন্টারমিডিয়েট/প্রি-ইউনিভারসিটি/ডিগ্রি পূর্ববর্তী পরীক্ষা ---বিএ/বিকম/বিএসসি প্রভৃতি পাঠক্রমের প্রথম বর্ষের জন্য
যে স্তরের পড়াশোনার জন্য কোনও পড়ুয়া জাতীয় মেধা বৃত্তি পাচ্ছে, সেই স্তরের পড়াশোনার জন্য সে অন্য কোনও বৃত্তি গ্রহণ করতে পারবে না।
যে পড়ুয়া কোনও পুরো সময়ের পেশাগত কাজের সঙ্গে যুক্ত, সে কোনও বৃত্তি পাবে না।
কোনও পড়ুয়া যখন বৃত্তি পাচ্ছে, সে সময় সে তার নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি-তে ছাড় পেলে তা গ্রহণ করতে পারবে।
বৃত্তি-প্রার্থী যদি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় যে বছর বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, তার আগের বছর পাস করে থাকে, তা হলে তাকে বৃত্তি দেওয়া হবে না।
প্রকল্পের প্রতিটি ক্যাটেগরির ক্ষেত্রেই বৃত্তি শুধুমাত্র সেই পড়ুয়াদেরই দেওয়া হবে, যাদের বাবা-মায়ের মিলিত বাৎসরিক উপার্জন ১ লক্ষ টাকার বেশি নয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020