ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি পার্শি বিশি শেলি ১৮২২ সালের ৮ জুলাই ইতালির লিরিসিতে পরলোকগমন করেন। রোমান্টিক ধারার এই কবি ইংরেজি কবিতার ছন্দের জাদুকর হিসেবে স্বীকৃত। তিনি, জন কিটস এবং লর্ড বায়রন মিলে ইংরেজি সাহিত্যে যে রোমান্টিক ধারার সূচনা করেছিলেন তার আবেদন আজও অক্ষয়। কাব্য সঙ্কলন ওজিম্যানডিয়াসের জন্য তিনি বিখ্যাত। ওড টু দ্য ওয়েস্ট উইন্ড, টু দ্য স্কাইলার্ক, মিউজিক, হোয়েন সফট ভয়েসেস ডাই, দ্য ক্লাউড এবং দ্য মাস্ক অব এনার্কি তাঁর বিখ্যাত কবিতা। তাঁর রচিত গোথিক উপন্যাস জাসট্রজি এবং সেন্ট আরভিন। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন খ্যাত ঔপন্যাসিক মেরি শেলি তাঁর স্ত্রী। শেলির প্রথাবিরোধী জীবনযাপন এবং আপসহীন আদর্শ তাঁকে সব সময় কোণঠাসা করে রাখত। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত জীবনের অধিকারী এই মহান কবি নিজের সাফল্য, স্বীকৃতি দেখে যেতে না পারলেও তিন-চার প্রজন্মের কবি- সাহিত্যিকদের ওপরে তাঁর ছিল প্রচুর প্রভাব। শেলির জন্ম ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দের ৪ আগস্ট। বাবার নাম টিমোলি শেলি। বাড়িতেই তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনা। ইটন কলেজের ছাত্র ছিলেন শেলি। ১৮১০ সালে অক্সফোর্ড কলেজ থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। ইংরেজ কবি পিবি শেলি ও তার বন্ধু অক্সফোর্ড থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। সে 1811 সালের ঘটনা। ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কলেজের প্রধান ও বিশপদেরকে তিনি একটা লিফলেট পাঠিয়েছিলেন।
লিফলেটে ধর্ম-কর্মের অসারতা নিয়ে একটা রচনা ছিল। ছদ্মনামেই তিনি সেটা লিখেছিলেন।
রচনাটির মূল কথা ছিল যে, ঈশ্বরের অস্তিত্বের বিষয়টি বাস্তব সাক্ষ্যপ্রমাণ বা যুক্তি দিয়ে প্রমাণিত না সুতরাং ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়ে একটি মুক্ত তদন্ত হওয়া উচিত। এই অভিযোগে এখন আর কেউ অক্সফোর্ড থেকে বহিষ্কার হবে না, এমনই ধারণা করা যায়। কিছু কিছু মানুষ থাকেন যারা নিজেদের সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকেন।
সমুদ্রবিহারে লেখরন থেকে ইতালির লেরিসিতে ফেরার পথে মাত্র ৩০ বছর বয়সে তাঁর সলিলসমাধি ঘটে। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলেই মনে করা হয়।
সুত্রঃ পোর্টাল টিম দ্বারা সংকলিত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/1/2020