অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

১ ডিসেম্বর - বিশ্ব এইডস দিবস

১ ডিসেম্বর - বিশ্ব এইডস দিবস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮৮ সালে প্রতি বছর ১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডসে মৃত্যু : নয় একটিও নয় আর’. ‘বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়ব সবাই, এই আমাদের অঙ্গীকার’। রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হবে। এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা পৃথিবীতে বর্তমানে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ এবং এদের অর্ধেকই নিজের শরীরে এইচআইভির উপস্থিতি জানে না। এ দিকে, এইডস বিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য সফলতা এসেছে বলে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে।

এইডস (অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিয়েন্সি সিনড্রোম) হচ্ছে এইচআইভি নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এক ব্যাধি, যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। এতে করে এক জন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।

এইচআইভি সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু এইডস হয় না। কিন্তু যে হেতু এক বার সংক্রামক এইচআইভি শরীরে ঢুকলে তাকে পুরোপুরি দূর করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি, তাই এইচআইভি. সংক্রমণ হলে এইডস প্রায় অনিবার্য। তবে বিনা চিকিৎসায় এইডস পর্যায়ে পৌছতে যদি লাগে গড়ে দশ বছর তবে চিকিৎসার দ্বারা তাকে আরও কিছু বছর পিছিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ‘হার্ট’ (এইচএএআরটি) নামে এইডস-এর যে কম্বিনেশন ওষুধ দিয়ে চিকিৎসাপদ্ধতি রয়েছে তা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ।

এইচআইভি কী ভাবে ছড়ায়

  • এইচআইভি-তে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সূঁচ ব্যবহার করলে।
  • এইচআইভি-তে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা গর্ভধারণের শেষ দিকে বা প্রসবের সময় হতে পারে। তবে জিডোভুডিন ওষুধ ব্যবহার করে এই সম্ভাবনা কিছুটা কম করা যায়, এবং তা করলে মায়ের দুধও বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে (কারণ মার দুধ না পেলে গরিব ঘরে জন্মানো বাচ্চার মৃত্যুর সম্ভাবনা আরও বেশি)
  • এইচআইভি-তে আক্রান্ত কারও সঙ্গে অসংরক্ষিত (কনডম ব্যবহার না করে) যৌন সম্পর্ক করলে।

আসলে শরীর জাত অধিকাংশ তরল ক্ষরণে এইচআইভি নিষ্কৃত হয়। তবে স্নেহপদার্থের আবরণ থাকায় এইচআইভি অত্যন্ত ভঙ্গুর। তাই এইচআইভি শরীরের বাইরে বেশিক্ষণ বাঁচে না। এই কারণে সরাসরি রক্ত বা যৌন নিঃসরণ শরীরে প্রবেশ না করলে এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কম। শুধুমাত্র স্পর্শ, এক সঙ্গে খাওয়া, এমনকী একই জামাকাপড় পরা, বা মশার কামড়ে কখনও এইচআইভি ছড়ায় না। তাই এইচআইভি সংক্রমণ ছোঁয়াচে নয়।

সূত্র: bengali.ruvr.ru ও উইকিপিডিয়া

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/15/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate