কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এমা সালকোউইকস বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যেখানেই যান, সঙ্গে একটি ম্যাট্রেস নিয়ে যান। আসলে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে তাঁর সঙ্গে ঘটা যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক মতো না করার বিরুদ্ধেই তাঁর এমন প্রতিবাদ। গলা ফাটিয়ে চিত্কার বা অন্য কোনও রকমেরই প্রতিবাদের পন্থার চেয়ে প্রায় নীরব এই প্রতিবাদের ধরন অনেক কার্য়কর হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি পরিবর্তিত সেক্সুয়াল মিসকন্ডাক্ট পলিসি আনতে বাধ্য হন।
সাংবাদিক সোফি উইলকিনসন এক দিন টিউবে লাঞ্চ খাচ্ছিলেন, তা সে খাওয়ার ছবি জনৈক ভদ্রলোক তুলে ফেসবুকে ‘উইমেন হু ইট অন টিউব’ শীর্ষক পেজ তৈরি করে ছেপে দেন। সোফি অজান্তেই ঠাট্টার পাত্রী হয়ে ওঠেন। পেজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়, প্রতিবাদের নাম, অবশ্যই, ‘উইমেন হু ইট অন টিউব’। পুরুষ নারী নির্বিশেষে বহু মানুষ টিউবে বসেই খাবার খাওয়া শুরু করেন। প্রত্যেক স্টেশন থেকেই প্রতিবাদীরা উঠে সেই দল আরও ভারী করতে থাকে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার ভারত সফরে ইন্টার সার্ভিস গার্ড অফ অনার দেন উইং কমান্ডার পূজা ঠাকুর। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে তিনি খুবই গর্বিত এই কাজটি করতে পেরে। তিনি সঙ্গে আরও বলেন যে, তিনি আগে এক জন অফিসার, তার পর এক জন নারী। এবং তাঁর বিশ্বাস পুরুষ নারী নির্বিশেষে সবাই এখানে সমান কারণ সবাইকেই একই রকমের ট্রেনিং এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই প্রথম ভারতীয় সেনা, নৌ এবং বায়ু বিভাগের নারী বাহিনী রাজপথ ধরে হাঁটল।
বড়দিনে রোম, সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারের অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েন এক মহিলা। তাঁর উর্ধাঙ্গ ছিল অনাবৃত এবং বুকের ওপর লেখা ছিল গড ইজ উওম্যান। বহু মানুষের সামনে তিনি শিশু যিশুর এক মূর্তি তুলে নিয়ে মাথার ওপর তুলে চেঁচিয়ে কিছু একটা বলেন। পুলিশ তাঁকে ধরে বের করে দেয়। জানা যায় তিনি ‘ফিমেন’ বলে এক সংস্থার সদস্যা, যাঁরা নিজেদের শরীরের ওপর মহিলাদের অধিকার প্রসঙ্গে চার্চের বক্তব্যের বিরোধিতা করে এক প্রতিবাদ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
সূত্র: এই সময়, রবিবায়োয়ারি, ৮ মার্চ, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/30/2020