রাষ্ট্রের প্রতীক নেওয়া হয়েছে সম্রাট অশোকের সারনাথের সিংহস্তম্ভ থেকে। মূলস্তম্ভে চারটে সিংহ পিঠে পিঠে দাঁড়িয়ে আছে একটা ফ্রেমের উপরে। ফ্রেমের কারুকার্যে একটা শুঁড়তোলা হাতি, একটা লাফানো ঘোড়া, একটা ষাঁড় এবং একটা সিংহ মাঝে চাকাসহ একটা ঘন্টাকৃতি পদ্মের উপর আছে। স্তম্ভের শিখরে আছে আইনের চাকা (ধর্মচক্র)। এক খণ্ড বেলেপাথর থেকে কেটে তৈরি এই সিংহস্তম্ভ।
১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি সরকার দ্বারা গৃহীত রাষ্ট্রের প্রতীকে শুধু তিনটে সিংহ দেখা যাচ্ছে, চতুর্থটা দৃষ্টি থেকে লুকোনো। চাকাটা নীচে মাঝখানে দু’পাশে একটা ঘোড়া এবং একটা ষাঁড়-সহ। একেবারে ডাইনে ও বায়ে দু’টো চাকার বাইরের লাইন দেখা যাচ্ছে। ঘন্টাকৃতি পদ্মফুলটাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মুন্ডক উপনিষদ থেকে ‘সত্যমেব জয়তে’ কথাটি নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ ‘শুধু সত্যেরই জয় হয়’। কথাটি দেবনাগরী হরফে ফ্রেমের নীচের দিকে মুদ্রিত আছে।
নিয়মিত ৩৬৫ দিনের জাতীয় দিনপঞ্জি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে শক যুগের ভিত্তিতে চৈত্র মাসকে প্রথম মাস করে ২২ মার্চ, ১৯৫৭-তে গৃহীত হয়েছিল নিম্নবর্ণিত সরকারি উদ্দেশ্যে ---
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে জাতীয় দিনপঞ্জির একটা স্থায়ী সম্বন্ধ আছে – ১ চৈত্র ও ২২ মার্চ প্রতি বছর একই দিনে পড়ে, শুধু লিপ ইয়ারে ২১শে মার্চ হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/10/2020