এ বার যাওয়া যাক সারান্ডায়। সাতশো পাহাড়ের দেশ থেকেই সারান্ডা শব্দের উৎপত্তি।
ঘাটশিলা থেকে ৮ কিমি দূরে পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডিও আর একটি স্বাস্থ্যকর স্থান।
মেন লাইনে গিরিডির রেল সংযোগকারী স্টেশন ৩৭ কিমি দূরের মধুপুর। সারা পশ্চিমের মতো গিরিডিতেও চেঞ্জারবাবুদের আনন্দ নিকেতন গড়ে উঠেছিল রেল স্টেশন থেকে ২ কিমি দূরের বারগান্ডায়।
আজও নাকি সোনা মেলে বালুতটে, দেখতেও মেলে নদীচরে সকাল সাঁঝে। তাই নদীর নাম সুবর্ণরেখা।
অরণ্যময় পাহাড়ভূমির আর এক আকর্ষণ আদিবাসীদের দেশ চাইবাসা।
শিমুলতলা থেকে কলকাতামুখী ২৫ কিমি গিয়ে জসিডি।
আদিবাসী অধ্যুষিত এক অখ্যাত গ্রাম, নাম তার সাকোহি। ১৯০৮ সালে ভারতের প্রথম ইস্পাত কারখানা টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় এই সাকোহিতে।
ধানবাদ থেকে দূরত্ব ৩৭ কিমি, মাইথন ৫৮, গোমো ৬ আর কলকাতার দূরত্ব ৩০৩ কিমি।
সাঁওতাল, বেদিয়া, ওঁরাও সম্প্রদায়ের আদিবাসী অধ্যুষিত ছোটনাগপুর অধিত্যকায় দামোদর বছরের পর বছর তার ভয়াল মূর্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, ধ্বংস করেছে জনপদ, বিনষ্ট হয়েছে শস্য সম্পদ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আশীর্বাদ হয়ে এল বিজ্ঞান।
দেওঘর থেকে বাসে ৫৮ কিমি দূরে দুমকা পাহাড়। চক্রাকারে পাহাড় শ্রেণি, শাল, মহুয়া, পলাশে ছাওয়া সাঁওতাল পরগনার জেলা সদর দুমকাও স্বাস্থ্যকর স্থান।
ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনা জেলার দেবগৃহ অর্থাৎ দেবতার ঘর আজ হয়েছে দেওঘর।
ছোটনাগপুর পাহাড়ের ঢালে পলামু জেলায় ১২৫০ মিটার উঁচুতে শাল-মহুয়া-পলাশে ছাওয়া পাইন আর ইউক্যালিপটাসের শহর নেতারহাট।
গিরিডি-ডুমরি সড়কে গিরিডি থেকে ২৬ কিমি, গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের ডুমরি থেকে ১৬ কিমি দূরে বাঁ হাতে আরও ৪ কিমি গেলে মধুবন।
ছোটনাগপুর মালভূমির পশ্চিমাংশে ল্যান্ড অফ পলাশ অ্যান্ড মহুয়া অর্ধাৎ পলামু।
দক্ষিণ বিহারের উপজাতিদের সংগঠন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০০০ সালের ১ নভেম্বর স্বীকৃতি মেলে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের।
দেওঘর থেকে ৩৫ কিমি দূরে মধুপুর। তীর্থের সঙ্গে জলবায়ূর গুণে দেওঘর খ্যাত হলেও স্বাস্থ্যকর জায়গা হিসেবে টিলায় ভরা পাহাড়িয়া মধুপুর অধিক খ্যাত।
ই টি ম্যাকলাসকি সাহেবের নামানুসারে রাঁচি জেলায় ১৯৩৪ সালে দশ হাজার হেক্টর তথা লাপড়া, কঙ্কা, হেসাল এই ৩ বস্তি লিজে নিয়ে বিলেতের আদলে গড়া মিনি হোমল্যান্ড ম্যাকলাসকিগঞ্জ।
জঙ্গল আর আদিবাসী অধ্যুষিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছোটনাগপুর মালভূমির কেন্দ্রস্থলে ৬৫২ মিটার উঁচুতে রাঁচি শহর।
৩৩ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হাজারিবাগ থেকে ৪৮ আর রাঁচি থেকে ৪৩ কিমি, অর্থাৎ হাজারিবাগ-রাঁচির মাঝপথে রামগড় থেকে আরও ৩২ কিমি গিয়ে রাজরাপ্পা জলপ্রপাত।
রেল স্টেশন থেকে বেরোতেই ডাইনে বাঁয়ে স্টেশন রোডে অতীতকালে গড়ে উঠেছিল স্বাস্থ্য গড়ার আনন্দ নিকেতন।
মাত্র ৬১৫ মিটার উঁচুতে ছোটনাগপুর পাহাড়ি অধিত্যকায় ব্রিটিশের গড়া পটে আঁকা শহর হাজার বাগ অর্থাৎ হাজারিবাগ।