ঘাটশিলা থেকে ৮ কিমি দূরে পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডিও আর একটি স্বাস্থ্যকর স্থান। মনোরম প্রকৃতির মাঝে জলবায়ূর গুণে শীতের দিনগুলিতে স্বাস্থ্যোদ্ধারে আসেন বহু মানুষ। পাহাড়, জঙ্গল, বনস্পতির সমাহারে শাল, মহুয়া, শিমুল, পিয়ালের জঙ্গলে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা। আদিবাসীদের বাস। রেল স্টেশন থেকে ১০ কিমি দূরে গালুডি ড্যাম। খরস্রোতা সুবর্ণরেখায় ২১টি স্লুইস গেটের বাঁধ পড়েছে।
২ কিমি দূরে সুবর্ণরেখা, ৭ কিমি দূরে দলমা ছোঁয়া আরণ্যক পরিবেশে সাতগুরুম নদী। সাতটি ধারায় দলমাকে বেঁধে রেখেছে। অদূরেই পশ্চিমবাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে সব পেয়েছির দেশ দুয়ারসিনি, ১৪ কিমি দূরে বুরুডি লেক। দুয়ারসিনি থেকে ৩ কিমি দূরে ভালপাহাড়।
জাদুগোড়ার ইউরেনিয়াম খনি যেমন দেখে নেওয়া যায়, তেমনই লোকাল ট্রেন বা বাসে ঝাড়গ্রামমুখী ১২ কিমি গিয়ে শাল, মহুয়া,পলাশে ছাওয়া পাহাড়ি অধিত্যকা ধলভূমগড়ের সুন্দর প্রকৃতির মাঝে নল রাজাদের রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে অরণ্যের মাঝে। সেটা মিস করা উচিত হবে না। নহবতখানা, রাসমঞ্চ, দু’টি মন্দিরও আছে। শালের আড়ালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মারক রানওয়েটি আজও রয়েছে। আর আছে সুবর্ণরেখা নদী, রেল স্টেশন থেকে ১ কিমি দূরে। রবিবারের হাটটিও যথেষ্ট আকর্ষণীয় ধলভূমগড়ে। ধলভূমগড়ের ১৫ কিমি দূরে আরও এক মনোরম জায়গা গোটাশিলা পাহাড়। এখান থেকে খড়গপুরের দূরত্ব ৮২ কিমি।
উৎসাহীরা ঘাটশিলা-রাঁচি পথে ৭৫ কিমি দূরে ৩০৬০ ফুট উঁচু হেসাডি গিয়ে সাড়ে তিন কিমি দূরের হিরণি জলপ্রপাতটিও দেখে নিতে পারেন। দুধসাদা প্রপাতের জল ২৫০০ ফুট উপর থেকে তিরতির করে পাথরে পড়ে কারো নদীতে মিশছে। হেসাডি থেকে ১২ কিমি দূরে চক্রধরপুরের দিকে টেবো পাহাড়েও বেড়িয়ে নেওয়া যায়। এই পাহাড়ে ওঁরাও, মুন্ডা, হো-দের বাস। টেবোর খ্যাতি আদিম প্রকৃতি ও স্বাস্থ্যকর জল-হাওয়ার জন্য। লাগোয়া জঙ্গলমহলে রয়েছে অভয়ারণ্য। দেখা মেলে ভল্লুক, হাতি, বাঘ, চিতার। এ ছাড়া দেখার জায়গার মধ্যে রয়েছে রোগদও, শৈলরাকাব পাহাড়, নরসিংহগড়।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/12/2019