ধানবাদ থেকে দূরত্ব ৩৭ কিমি, মাইথন ৫৮, গোমো ৬ আর কলকাতার দূরত্ব ৩০৩ কিমি। হাওড়া থেকে যাওয়ার জন্য রয়েছে হাওড়া রাঁচি শতাব্দী এক্সপ্রেস(রবি ছাড়া), ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস। এই ট্রেনগুলিতে চেপে ধামবাদে পৌঁছে দিনে দিনে তোপচাঁচি লেক ঘুরে হাজারিবাগ চলে যাওয়া যেতে পারে বাসে। চটজলদি যাত্রায় বিকেলের ট্রেন ধরে কলকাতাতেও ফেরৎ আসা যেতে পারে।এছাড়া রয়েছে কোল্ডফিল্ড এক্সপ্রেস, পূর্বা এক্সপ্রেস, কালকা মেল, শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওড়া নিউদিল্লি এক্সপ্রেস, মুম্বই মেল ও আরও নানা ট্রেন। কলকাতা থেকে যাওয়ার এমনই নানা উপায় থাকলেও সরাসরি লেক যেতে হলে হাওড়া-দিল্লি গ্র্যান্ড কর্ড লাইনের গোমো পৌঁছে লেকে যাওয়াই সুবিধার।
জাতীয় সড়ক দুই-এ বাজার থেকে ১ কিমি দূরে হোটেল গুলশান লাগোয়া ডাইনে পথ গিয়েছে বৃত্তাকার সবুজ পাহাড়ে ঘেরা কৃত্রিম লেক তোপচাঁচির। ১৯১৫ সালে ঝরিয়াকে জল দিতে পরেশনাথ পাহাড়ের ঢালে তৈরি হয় ২ কিমি দীর্ঘ তোপচাঁচি লেক। নীল জল, শান্ত স্নিগ্ধ মনোহর পরিবেশ। সকালে পাহাড়ের পেছন থেকে উঁকি মারে সূর্য, হাসির গমকে অভ্র ছড়ায় লেকের জলে। সাঁঝেরও মাধূর্য আছে। বাতাস ভারী হয়ে ওঠে, পলাশ মহুয়ার মিষ্টি মৌতাতে। অতীত গরিমা ম্লান হলেও তোপচাঁচি আজও প্রকৃতি প্রেমিকদের স্বর্গ বিশেষ। শীতে পরিযায়ী পাখিরাও আসে দূর দূরান্ত থখেকে। তেমনই লেককে ঘিরে পাহাড়ি অরণ্যে বেড়ে উঠেছে ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি। বাঘেরাও প্রকৃতির শোভার সাথে মিষ্টি জলের স্বাদে বিহারে আসে লেকে।
৬ কিমি দূরে তোপচাঁচি রেল সংযোগকারী গোমো স্টেশন। এই গোমো থেকেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪১ সালের ১৮ জানুয়ারি ঐতিহাসিক নিষ্ক্রমণের পথে ট্রেনে চাপেন। তোপচাঁচি বাজারে সেই ঘটনার স্মারক হিসেবে মূর্তি রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। নামান্তরও ঘটে, অতীতের স্টেশন রোড হয়েছে নেতাজি সুভাষ রোড।
তোপচাঁচি লেকের জলে পরেশনাথ পাহাড়ের ছায়া পড়ে। সে-ও এক দেখার জিনিস।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/26/2020