দক্ষিণ বিহারের উপজাতিদের সংগঠন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০০০ সালের ১ নভেম্বর স্বীকৃতি মেলে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের। স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরসা মুন্ডার জন্মদিন ১৫ নভেম্বর বিহার রাজ্য ভেঙে ১৮টি জেলা নিয়ে তৈরি হয় ঝাড়খণ্ড রাজ্য। ৩০টি ধর্মীয় উপজাতির বাস ঝাড়খণ্ডে, এর মধ্যে সাঁওতালরা বর্ণশ্রেষ্ঠ। সারা উত্তর জুড়ে বিহার, পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিমে ছত্তিসগড়, দক্ষিণে ওড়িশা। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে। খনিজ সম্পদে খুবই সমদ্ধ ঝাড়খণ্ড। ভারতের ৩২.৪ শতাংশ কয়লা, ২৩.৩ শতাংশ আকরিক লোহা, ৩৩.৯ শতাংশ তামা, ৪৬.৬ শতাংশ অভ্র ঝাড়খণ্ডে মেলে। চিমনির উচ্চতার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের আর্থিক বনিয়াদও মজবুত করেছে টিসকো, ডিভিসি, বোকারো স্টিল প্ল্যান্ট, রাঁচি হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প। বনজ সম্পদেও যথেষ্ট সমদ্ধ ঝাড়খণ্ড। তেমনই আছে পর্যটকদের নয়নের মণি --- রাঁচি, নেতারহাট, হাজারিবাগ, সারান্ডা, বেতলা অরণ্য। আছে স্বাস্থ্য গড়ার আনন্দ নিকেতন (সেকালের পশ্চিম)-শিমুলতলা, জসিডি, দেওঘর, মধুপুর, গিরিডি, জামতাড়া, মিহিজাম, ঘাটশিলা, গালুডি।
কলকাতা থেকে বিভিন্ন সংস্থার ট্যুর প্যাকেজে ঝাড়খণ্ড ঘুরে আসা যায়। ১৫ দিনে বিহার ও নেপালের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড জুড়ে ঘুরে আসার প্যাকেজগুলি তো খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া রয়েছে ১০ দিনে শিমুলতলা, জসিদি, দেওঘর, দুমকা, পরেশনাথ,মধুপুর। ১৪ দিনের বনবাসে হাজারিবাগ, রাজরাপ্পা, পালামৌ, নেতারহাট, রাঁচি, দশম,হুড্রু, গৌতমধারা, টাটা, ঘাটশিলা। এছাড়া নিজের খুশিমত জায়গা বেছে বেড়ানোর সুযোগ তো সবসময়ই রয়েছে।
ঝাড়খণ্ড পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী রাজ্য। এ রাজ্যের বেড়ানোর জায়গাগুলির সঙ্গে বাঙালিদের বহু দিনের সম্পর্ক। বাসভূমি সূত্রে এবং কর্মসূত্রেও বহু বাঙালির বাস সেখানে। সব মিলিয়ে এ এক আত্মিক সম্পর্ক। এটাও উল্লেখ করার মতো বিষয় যে, ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা বাংলা। কাছাকাছি হওয়ায় অনেক কম সময় ও কম খরচে বাঙালিরা ঘুরে আসতে পারেন ঝাড়খণ্ড থেকে। আমরা তাই আমাদের পর্যটন বিভাগে যে রাজ্যগুলি সম্পর্কে বিস্তারে আলোচনা করব, তার মধ্যে ঝাড়খণ্ড অন্যতম।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019