আগেই বলেছি রাঁচি ঝাড়খণ্ডের রাজধানী। জঙ্গল আর আদিবাসী অধ্যুষিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছোটনাগপুর মালভূমির কেন্দ্রস্থলে ৬৫২ মিটার উঁচুতে রাঁচি শহর। পশ্চিমে রাঁচি পাহাড় আর উত্তরে মোরাবাদি অর্থাৎ টেগোর হিল। তারই মাঝে রাঁচি লেক-কে ঘিরে গড়ে উঠেছে রাঁচি শহর। লেকের পাশে চারপাশে পাহাড়ে ঘেরা রক গার্ডেন। লেকের মাঝের দ্বীপগুলিও সৌন্দর্য বাড়িয়েছে শহরের। রাঁচি পাহাড়ের জলবায়ুও স্বাস্থ্যপ্রদ। বেড়াবার মরশুম অক্টোবর থেকে মার্চ মাস হলেও বর্ষা এড়িয়ে সারা বছরই বেড়ানো যেতে পারে রাঁচি পাহাড়ে।
শহর থেকে ৮ কিমি উত্তরে মানসিক রোগীদের হাসপাতাল। শহরমুখী ফিরতেই ডাইনে জাহাজবাড়ি, লাগোয়া রয়েছে প্লেন বাড়ি। আরও এগিয়ে গোন্ডা পাহাড়মুখী কাঁকে বাঁধ। রয়েছে কাঁকে রক গার্ডেনও। শহর থেকে ৪ কিমি উত্তরে প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মোরাবাদি পাহাড় বা টেগোর হিল। এই পাহাড়েই বাস করতেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রাঁচি লেকের কাঁধে ভর করে শহরের প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাঁচি হিলস। মন্দির রয়েছে শিবের, পাহাড় শীর্ষে আরও আরও দেবতারও মন্দির রয়েছে। মন্দির থেকে শহরের দৃশ্যও সুন্দর দৃশ্যমান। আর আছে রাঁচির থেকে ৬ কিমি দূরে উপকণ্ঠে নামকুম। ইতিউতি পাহাড়, গাছগাছালিতে ছাওয়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। স্বাস্থ্যকর জায়গা বলে রাঁচির থেকেও এর প্রশস্তি বেশি। এ ছাডা় আছে রকমারি মিউজিয়ম, ডিয়ার পার্ক, চিড়িয়াখানা, ট্রাইবাল রিসর্ট ইন্সটিটিউট। আছে ধুরুয়া বাঁধ ও ধুরুয়ায় জগন্নাথ মন্দির। রথযাত্রা উপলক্ষে এখানে বড় মেলা বসে।
শহর থেকে নামকুম হয়ে রাঁচি-টাটা সড়কে ২৬ কিমি গিয়ে ডানহাতি পথে আরও ৯ কিমি গেলে দশম ঘাঘ বা জলপ্রপাত। ১৪৪ ফুট উপর থেকে কাঞ্চি নদী নেমে মিলেছে সুবর্ণরেখায়। দশ ধারায় নামছে বলে নাম দশম। হুড্রুর জলধারা কমে যাওয়ায় এটিই এখন পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। দশম থেকে হুড্রুর দূরত্ব ৬৯ কিমি। ৩২০ ফুট উপর থেকে জল পড়ছে সুবর্ণরেখায়। বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ তৈরির জন্য জলধারা কমে যাওয়া সত্ত্বেও পর্যটক টানতে এখনও কমতি নেই।
এই পথেই আকারে ছোট হলেও সীতা ফলস অনবদ্য। আর হুড্রু থেকে ৩৩ কিমি দূরে অতীতের জোনা ফলস আজ হয়েছে গৌতমধারা জলপ্রপাত। ১৪০ ফুট ওপর থেকে ১০টি ধারায় কাঞ্চি নদী নেমে মিলছে সুবর্ণরেখায়। পাশে মন্দিরও রয়েছে গৌতম বুদ্ধের।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020