৩৩ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হাজারিবাগ থেকে ৪৮ আর রাঁচি থেকে ৪৩ কিমি, অর্থাৎ হাজারিবাগ-রাঁচির মাঝপথে রামগড় থেকে আরও ৩২ কিমি গিয়ে রাজরাপ্পা জলপ্রপাত। হাজারিবাগ থেকে দিনের একমাত্র বাসটি ছাড়ে সকাল ছটায়।বাস যায় রামগড়, চিত্তারপুর, গোলা হয়ে।গোলা যাত্রীদের ভেরা অর্থাণ ভৈরবী নদীর হাঁটু জল পেরিয়ে মন্দিরে যেতে হয়। আর চিত্তারপুরের পথটি মন্দিরে পৌঁছে দেয়।এছাড়া মুহুর্মুহু বাস ও ট্রেকার যাচ্ছে হাজারিবাগ থেকে ৮৬ কিমি দূরের পল্টন শহর রামগড়ে। রামগড়ে বদল করেও যাওয়া যেতে পারে রাজরাপ্পায়। তেমনই হাজারিবাগ, রাঁচি যাতায়াতেও রামগড় হয়ে ট্রেকার বা বাস মেলে। রামগড় থেকে ঝাড়খণ্ড ও বিহার রাজ্যের নানা দিকে বাস যাচ্ছে। ঘণ্টা তিনেকে মন্দির দেখে রাঁচি বা হাজারিবাগ ফিরে আসতে পারেন।
ভেরা অর্থাৎ ভৈরবী নদী পড়ছে দামোদর নদে। আর সঙ্গমে মন্দির হয়েছে অনুচ্চ পাহাড়ি টিলায় রাজরাপ্পায়। ৫১ পীঠের এক পীঠ। দেবী এখানে দশমহাবিদ্যার অন্যতম ছিন্নমস্তা কালী। মুণ্ডমালা বিভূষিতা হয়ে রতি ও কামের উপর দাঁড়িয়ে, বাঁ হাতে নিজের ছিন্নমস্তক ধারণ করে লোলজিহ্বায় নিজেরই কণ্ঠ নিঃসৃত শোণিতধারা পানরতা। বাম ও ডান হাতে নরকপাল ও কর্তরী, গলায় নাগ যজ্ঞোপবীত ও মুণ্ডমালা। প্রচণ্ড চণ্ডিকা নামেও খ্যাতি আছে দেবী ছিন্নমস্তার। দেবীর তুষ্টিতে ভক্তের শিবত্ব প্রাপ্তি ঘটে বলে জনশ্রুতি। তেমনই মনোবাঞ্ছাও পূর্ণ হয় দেবীর আশিসে। এ ছাডা়ও অষ্টমাতৃকা, দক্ষিণা কালী ছাড়াও আরও নানান মন্দির রয়েছে রাজরাপ্পায়। প্রকৃতিও সুন্দর রাজরাপ্পার। থাকার জন্য ২টি ধর্মশালা আছে। রাজরাপ্পার খয়া পেঁড়ার খ্যাতি যথেষ্ট।
উৎসাহীরা হাজারিবাগ থেকে ৭২ কিমি দূরের বারকাঠিয়ায় উষ্ণ জলের প্রস্রবণ সুরজকুণ্ড বেড়িয়ে নিতে পারেন। ৫৫ কিমি দূরের তিলাইয়া, ৫১ কিমি দূরের কোনার বাঁধটিও হাজারিবাগ থেকে বাস বা ট্রেকারে ঘুরে নেওয়া যায়। রাঁচির যাত্রীরা চলার পথে ক্রোকোডাইল ফার্মটিও দেখে নিতে পারেন। আদিবাসী অধ্যুষিত আরণ্যক পরিবেশে নিরালায় নিভৃতে রূপ পেয়েছে এই কুমির প্রকল্প।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019