গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। হিমালয়ের পাদদেশে তরাই অঞ্চলে অবস্থিত এই উদ্যান একটি মাঝারি আয়তনের তৃণভূমি ও অরণ্য।
গরুমারার প্রতিবেশী চাপড়ামারি। চালসা আর লাটাগুড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার। বনভূমির আয়তন ৯.৬ বর্গ কিলোমিটার।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের প্রতিবেশী চিলাপাতা অরণ্য, আলিপুরদুয়ার জেলায়। আলিপুরদুয়ার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার, হাসিমারা শহরের খুব কাছে।
আলিপুরদুয়ার জেলায়, পূর্ব হিমালয়ের নীচে, তোর্সা নদীর তীরে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। ২১৬.৫১ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই উদ্যান নদীতীরস্থ গাছপালা দিয়ে তৈরি। এই অরণ্যের বৈচিত্র্যময় প্রাণী ও উদ্ভিদকে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৪১ সালে একে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ভারতীয় এক শিঙা গন্ডার, রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এখানেই।
দার্জিলিং জেলার পরতে পরতে পর্যটকদের আকর্ষণ। যেদিকেই যাওয়া যায়, প্রকৃতি যেন মানুষের জন্য দুহাত উপুড় করে দিয়েছে। এই জেলার কালিম্পং মহকুমায় এই জাতীয় উদ্যানটি। এই বনাঞ্চল জাতীয় উদ্যানের শিরোপা পায় ১৯৮৬ সালে। ৮৮ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এই অরণ্য ছড়িয়ে আছে। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে উত্তরপূর্ব ভারতের সব চেয়ে সমৃদ্ধ অরণ্যভূমি এই নেওড়া ভ্যালি।
উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলাটি কলকাতা থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে । এই জেলার প্রশাসনিক ভবন ও সদর দপ্তর বারাসাত শহরে অবস্থিত। এই জেলার শহরগুলি কলকাতা শহরের সাথে রাস্তা ও রেললাইন দ্বারা যুক্ত। উল্লেখনীও শহরগুলির নাম বারাসত, বারাকপুর, বসিরহাট ও বিধাননগর (সল্টলেক)।
আলিপুরদুয়ার থেকে সোজা পথ বক্সা মোড়। সেখান থেকে পথ দু’ ভাগ – সোজা পথ গেছে বক্সাদুয়ার, ডান হাতি পথ গেছে জয়ন্তী।
বেথুয়াডহরি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য ৬৭ হেক্টরের বনভূমি --- কলকাতা থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে, উত্তরবঙ্গগামী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাঁ দিকে। এখানে নাকি বেথো (বেথুয়া) শাকের জলাভূমি (ডহর) ছিল। তা থেকেই নাম বেথুয়াডহরি।
রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (কুলিক পাখিরালয় নামেও পরিচিত) উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কাছে অবস্থিত। এখানে প্রায় ১৬৪ প্রজাতির পাখি রয়েছে। প্রতি বছর ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার পরিযায়ী পাখি এখানে আসে।
সুন্দরবন পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।