পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা একটি প্রাচীন জনপদ। এক সময় এখানে ‘ভন্দেশ’ নামে একটি জনপদ ছিল। যার চার দিকে ছিল কংসাবতী, শীলাবতী, বকদ্বীপ এবং মহাদলঘাট। মধ্যদেশের ব্রাহ্মণরা এখানে থাকতেন। মূল্যবান কাপড়ের জন্য এই অঞ্চল বিখ্যাত ছিল। চন্দ্রকোনা ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো জনপদ। হিন্দু রাজত্বের বহু সৌধ ও উপাসনালয়ের চিহ্ন এখানে বর্তমান। পর্যটকদের কাছে চন্দ্রকোনা বরাবরই এক আকর্ষণীয় স্থান। বিশেষত যারা ঐতিহাসিক স্থান দেখতে ভালবাসেন, তাদের জন্য দক্ষিণবঙ্গের অবশ্য গন্তব্য স্থানগুলির অন্যতম চন্দ্রকোনা।
চন্দ্রকোনার দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে-
মল্ল রাজাদের রাজত্বের চিহ্ন চন্দ্রকোনার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।
চন্দ্রকোনারই প্রতিবেশী গড়বেতা। অতীতে গড়বেতা অত্যন্ত সমৃদ্ধ নগর ছিল। এটি ছিল বাগরি পরগনার অন্তর্গত। বাগরি শব্দটি এসেছে বকডিহি থেকে। মহাভারতে বর্ণিত বক রাক্ষসের সঙ্গে গড়বেতা বা বাগরির সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়।
পঞ্চদশ শতাব্দীতে রাজপুত রাজা গজপতি সিং স্থানীয় অনার্য শাসককে পরাজিত করে বাগরি অঞ্চলে নয়া রাজত্ব কায়েম করেন। তিনি রয়কোটা দুর্গ নামে একটি দুর্গ বানিয়েছিলেন। শীলাবতী নদীর তীরে সেই দুর্গের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। চন্দ্রকোনা-গড়বেতা হাওড়া থেকে ট্রেনে যাওয়াই সুবিধা। হাওড়া-বাঁকুড়া রেলপথে চন্দ্রকোনা রোড স্টেশনে নেমে যেতে হয় টাউন চন্দ্রকোনা। আর গড়বেতাও ওই রেলপথের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 9/26/2019