অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

মদনমোহন, কালাচাঁদ ও আরও রত্ন মন্দির

মদনমোহন, কালাচাঁদ ও আরও রত্ন মন্দির

রত্নমন্দিরের মধ্যে মদনমোহন, কালাচাঁদ, রাধাগোবিন্দ, নন্দলাল ও রাধামাধবমন্দির উল্লেখযোগ্য। রত্নমন্দির বিষ্ণুপুর জেলায় বিশেষ সমাদৃত হয়েছিল। ইট ও মাকড়া পাথরে তৈরি কালাচাঁদ মন্দিরের গায়ে পৌরাণিক দেবদেবী, কৃষ্ণলীলা প্রভৃতি দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে। অষ্টকোণাকৃতি এই নবরত্নবিশিষ্ট মন্দিরের চূড়ায় পদ্ম, আমলক, ঘট ও ধ্বজা। ১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত রাধামাধব মন্দিরে ভিত্তিবেদির সমান্তরাল দু’টি সারিতে পশু পক্ষী ও পৌরাণিক ভাস্কর্য। দু’পাশের দেওয়াল ও কার্নিসের নীচে খোপের মধ্যে দু’ সারি করে মূর্তি ও ভাস্কর্য। খিলানশীর্ষে ও থামের গায়েও নানাবিধ ভাস্কর্যে সজ্জিত - বিষয় প্রধানত কৃষ্ণলীলা, দশাবতার, পদ্ম প্রভৃতি। এই অঞ্চলে একরত্ন মন্দির সবই পাথরের, দু-একটি ইটের ছাড়া, তার মধ্যে মদনমোহন মন্দির উল্লেখযোগ্য। পোড়ামাটির কাজে এক দিকে পশুপক্ষী, কৃষ্ণলীলা, দশাবতার ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনি রূপায়িত, অপর দিকে স্থান পেয়েছে প্রধানত যুদ্ধ দৃশ্য। থামের গায়ে কীর্তন ও বাজিয়ের দল ও খিলানশীর্ষে কুরুক্ষেত্রযুদ্ধ ও মহাভারতের বিভিন্ন কাহিনি। মদনমোহন মন্দিরের চারিদিকে ইঁটের সুউচ্চ প্রাচীর। মন্দিরটি দক্ষিণমুখী এবং বারান্দাবিশিষ্ট। বিষ্ণুপুরে ইটের মন্দিরগুলির মধ্যে এই মন্দিরটিই অন্যতম বলে বিবেচিত। ভিতের চারিদিকে হাঁসের সারি, বাদ্য ও নৃত্যরত মূর্তি, রামায়ণকাহিনি, দশাবতার ও ড্রাগন মূর্তি দ্বারা অলংকৃত। সম্মুখে নাটমন্দিরটির দেওয়ালে পোড়ামাটির কাজ আছে। ১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দে মল্লরাজ চৈতন্য সিংহ কর্তৃক রাধাশ্যাম জিউর মন্দির নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি মাকড়া পাথরের এবং চারচালা রীতিতে গঠিত এবং টেরাকোটাসমৃদ্ধ গম্বুজাকৃতি রত্নশিখরটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। দক্ষিণমুখী মন্দিরটির দেওয়ালে অনন্তশয্যায় শায়িত বিষ্ণু, ব্রহ্মা, মহেশ্বর ও গণেশাদি দেবতা, হাতি, ঘোড়া, মহিষ, হরিণ ইত্যাদি পশুপাখি, নরনারী প্রভৃতি পোড়ামাটির মূর্তিদ্বারা সুন্দরভাবে অলংকৃত। বিষ্ণুপুর দুর্গের ভেতরের দেবালয়গুলি সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে তৈরি বলে মনে হয়। এর মধ্যে শ্যামরায়ের পঞ্চরত্ন মন্দিরটি উল্লেখযোগ্য। মন্দিরটি ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এবং পঞ্চরত্ন মন্দিরের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। বিষ্ণুপুর দুর্গের মধ্যে আর একটি ভগ্ন জোড়বাংলা মন্দিরের দেখা পাওয়া যায়। মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির কাজের নিদর্শন দু-চারটি রয়েছে। এখানে এক জোড়া করে চারটি রেখদেউল এবং দুর্গের বাইরে রাসমঞ্চ বলে পরিচিত পিরামিডতুল্য গৃহটি উল্লেখযোগ্য।

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/27/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate