লাটাগুড়ি থেকে চালসা যাওয়ার পথে ৯ কিমি দূরে ডানহাতে গরুমারা অভয়ারণ্যের মূল ফটক ও চেকপোস্ট। চেকপোস্ট পেরিয়ে চা-বাগানকে বাঁয়ে রেখে রাস্তা চলে গেছে জঙ্গলের গভীরে। এই পথ ধরে আরও ৬ কিমি গেলে গরুমারা বনবাংলো। ভারতীয় একশৃঙ্গ গন্ডার, বাইসন আর হাতির জন্য গরুমারা অভয়ারণ্য বিখ্যাত। বহেড়া, কাটুস, শিমুল, শিরীষ, জাম, লালি গাছে ছাওয়া সবুজ অরণ্য ছড়িয়ে আছে প্রায় ৮০ বর্গ কিমি জায়গা জুড়ে। ১৯৭৬ সালে অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি পায় গরুমারা। ১৯৯৪ সালে পায় জাতীয় উদ্যানের শিরোপা।
বনবাংলোর পাশেই রাইনো পয়েন্ট ওয়াচ টাওয়ার। নিচে ইংডং নদী, নদীর পাড়ে সবুজ ঘাসজমি। সেখান থেকে নিরুপদ্রবে হিংস্র শ্বাপদদের নিজস্ব জীবন যাপন চাড়িয়ে তাড়িয়ে দেখার এমন সুযোগ কটা জায়গাতেই বা মেলে। শুধু চতুষ্পদীই বা কেন, পাখি দেখতে চাইলেও গরুমারার বিকল্প নেই। এক কথায় নাগরিক জীবনের অরণ্য উদ্যাপন।
সল্টলিকে নুন চাটতে আসে গন্ডার, বাইসন, হাতি। বনবাংলোয় থাকলে রাতে ওয়াচটাওয়ার থেকে স্পটলাইট ফেলে বন্যপ্রাণী দেখানো হয়। বনবাংলোর সামনে ব্যাটারিচালিত বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ঘেরা জায়গায় কুনকি (পোষা) হাতিদের রাখা হয়। বনবাংলো থেকে দেড় কিমি দূরে যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচটাওয়ার। ওপর থেকে নীচে মূর্তি নদী ও বিস্তীর্ণ চারণভূমি দেখা যায়। এখানেই দেখা হয়ে যেতে পারে বাইসন, গন্ডার, হাতির পাল, হরিণ আর ময়ূর-ময়ূরীদের সঙ্গে। সঙ্গে বাইনোকুলার থাকলে সুবিধা হবে। জঙ্গলের পথে দৌড়ে বেড়ায় বুনো মোরগ। ধীরেসুস্থে রাস্তা পার হয় ময়ূর। লাটাগুড়ি থেকে চালসার পথে ২ কিমি এগোলে ডান হাতে চুকচুকি। চুকচুকি হ্রদের ধারে চুকচুকি ওয়াচটাওয়ার। শীতকালে এখানে নানান প্রজাতির পরিযায়ী পাখিদের মেলা বসে যায়। গরুর গাড়িতে চেপে ঘুরে আসা যায় মেদলা ওয়াচটাওয়ার। থাকা – গরুমারা অভয়ারণ্যে কাঠের বনবাংলো আছে। এখানে থাকতে হলে সঙ্গে রেশন নিয়ে আসতে হবে। বনবাংলো বুকিং করতে হবে, ডি এফ ও, জলপাইগুড়ির থেকে।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/23/2020
গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের অবস্থি...