অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ফুরফুরা শরিফ

ফুরফুরা শরিফ

পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার জাঙ্গিপাড়া ব্লকের একটি গ্রামের নাম ফুরফুরা শরিফ। একটি মুসলিমদের কাছে একটি পবিত্র স্থান।

১৩৭৫-এ মকলিশ খানের নির্মিত মসজিদ আজ মুসলিমদের পবিত্র তীর্থস্থান। পীরের মেলায় অগণিত ভক্ত ফুরফুরা শরিফে আসেন। ফুরফুরা শরিফে হযরত আবু বকর সিদ্দিকি (রহঃ) ও তাঁর পাঁচ পুত্রের মাজার রয়েছে। একে বলা হয় পাঁচ হুজুর কেবলা (রহঃ)। প্রতি দিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী মাজার দর্শনে আসেন।

ফুরফুরা শরিফের সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শাহ সুফি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকি (রহঃ)। তিনি শুধুমাত্র এক জন ধর্মোপদেশকারীই ছিলেন না , ছিলেন একজন ধর্ম সংস্কারক । মোজাদ্দেদ জামান আবু বকর সিদ্দিকী (রহঃ) ১৮৪৫ সালে ফুরফুরা শরিফে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সামাজিক অপরাধ দূর করার লক্ষ্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং অসংখ্য সামাজিক কাজকর্মে জড়িত ছিলেন। তিনি অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন। তিনি এক জন মহান শিক্ষাবিদ ছিলেন, যিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে এক মাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই তিনি এই সমাজব্যবস্থার ক্ষতিকর দিকগুলো দূর করতে পারবেন এবং এ কারণেই তিনি অনেক মাদ্রাসা, স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ফুরফুরা শরিফে দরিদ্র ছাত্রদের জন্য তিনি বিনা মূল্যে বোর্ডিং সুবিধা দিয়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নারীশিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য ফুরফুরা শরিফে মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই তিনি অনেক ইসলামিক পত্রিকা এবং সংবাদপত্রের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।

এগুলোর মধ্যে একটি সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা হল, মুসলিম হিতৈষি। তিনি এক জন দেশপ্রেমিক এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সু-পন্ডিত এবং সর্বদা সহিষ্ণু আবু বকর সিদ্দিকী (রহঃ) সাহেবের সমগ্র পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, বিহার ও বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) জুড়ে অসংখ্য ভক্ত ছিল। তাঁহার অনুসারী ও ভক্তগণ শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মেরই ছিলেন না বরং বিভিন্ন গোত্র ও ধর্মের লোকেরা তাঁর ভক্ত ছিলেন। তাঁর কার্যক্রম বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও বুদ্ধিজীবী কর্তৃক প্রশংসিত হয়।

হযরত আবু বকর সিদ্দিকি (রহঃ) যে ধর্মীয় জমায়েতের সুচনা করেছিলেন তাকে তিনি ‘উরস’ বলার পক্ষপাতী ছিলেন না। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন ঈসালে সাওয়াব। বাংলা ফাল্গুন মাসের ২১, ২২ ও ২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় (ইং আনুমানিক ৫, ৬ ও ৭ মার্চ) এই ধর্মীয় জমায়েত হয়। প্রতি বছর তাঁর পৌত্ররা এই বাৎসরিক অনুষ্ঠান করে থাকেন।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/11/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate