বাঙালির কাছে সমুদ্র বলতেই ফার্স্ট চয়েস দিঘা। সপ্তাহান্তের ছুটিতে পরিবারের অন্যদের বা বন্ধুদের সঙ্গে হৈ চৈ করা আর সমুদ্রের জলে গা ভেজানোর জন্য হাতের কাছের দিঘা সবারই প্রিয়। হাওড়া থেকে ট্রেন চালু হওয়ায় দিঘায় যাওয়া এখন আরওই সুবিধাজনক হয়ে গেছে। দিঘার সমুদ্র স্নানের উপযুক্ত হলেও সমুদ্র অনেকটা এগিয়ে আসায় কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হয়েছে পাড়। বাজারের কাছে অনেকটা জায়গা জুড়ে পর্যটকদের স্নানের ভিড় লেগে থাকে। যাত্রী চাহিদা মেটাতে দিঘার সৈকত প্রসারিত হয়েছে ওড়িশা সীমান্তে নিউ দিঘা পর্যন্ত। নিউ দিঘার সৈকতটি তুলনায় প্রশস্ত, ঝাউগাছে মোড়া। দিঘায় থেকে বেড়িয়ে নেওয়া যায় সর্প উদ্যান, মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম, দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র, সায়েন্স পার্ক প্রভৃতি।
১৩ কিমি দূরে মৎস্যপ্রকল্প ও ঝাউবীথিকায় ছাওয়া সমুদ্রতট নিয়ে শঙ্করপুর। বর্তমানে আরও দু’টি সমুদ্রসৈকত মন্দারমণি ও তাজপুর ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আবার চন্দনেশ্বর মন্দির ঘুরে বিশ্রাম নেওয়া যায় তালসারি সমুদ্রসৈকতেও। চন্দনেশ্বর কিন্তু ওড়িশায়।
হাওড়া থেকে বাস পাওয়া তো যায়-ই, প্রতি দিনই এখন ট্রেন-ও যাচ্ছে দিঘায় । কলকাতার বিভিন্ন জায়গা (ধর্মতলা, লেকটাউন, করুণাময়ী, উল্টোডাঙা, গড়িয়া প্রভৃতি) থেকে সারা দিন ধরেই বিভিন্ন সময়ে দিঘার বাস যাচ্ছে। এ ছাড়াও আসানসোল, বর্ধমান, দুর্গাপুর, হলদিয়া, মেদিনীপুর ইত্যাদি পশ্চিমবঙ্গের বড় শহরগুলি থেকে দিঘার বাস ছাড়ে। বাসপথে দিঘা থেকে ১৬ কিমি আগে চাউলখোলায় নেমে ভাড়া গাড়িতে বা ট্রেকারে ৪ কিমি দূরের মন্দারমণি সৈকতে পৌঁছনো যায়। দিঘা-কলকাতা সড়কে রামনগর পেরিয়ে চোদ্দমাইল-এ নেমে ভ্যানরিকশায় পৌঁছনো যায় শঙ্করপুর সৈকতে। দিঘা থেকে শঙ্করপুর যাওয়ার জন্য সিএসটিসি-র বাস আছে। দিঘাগামী বাসে বালিসাই নেমে বাঁয়ে ৩ কিমি দূরে তাজপুর ।
দিঘা শহরে ঢোকার মুখে সমুদ্র সৈকত থেকে কিছুটা দূরে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের ট্যুরিস্ট লজ। শহরের শুরুতেই দিঘা ডেভেলপমেন্ট স্কিমের সৈকতাবাস। এ ছাড়া রয়েছে বেনফিশের হোটেল মীনাক্ষী। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের কলকাতা অফিস থেকেও বেনফিশের হোটেল বুকিং করা যায়। আর ডিরেক্টরেট অব সোশাল ওয়েলফেয়ার-এর কল্যাণ কুটির রেস্ট হাউস। এ ছাড়াও দিঘা ও নিউ দিঘা জুড়ে নানান সংস্থার হলিডে হোম ও বেসরকারি অজস্র হোটেল রয়েছে। শঙ্করপুরে বেনফিশের লজ ও অন্যান্য বেসরকারি হোটেল আছে। মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতের গা ঘেঁষে একের পর এক বেসরকারি হোটেল। তাজপুরে থাকার জন্য বেসরকারি হোটেল আছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019