অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ব্যান্ডেল

ব্যান্ডেল

এই নামের উৎপত্তি নিয়ে নানা কাহিনি। তবু সব চেয়ে প্রচলিত কাহিনিটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে পর্তুগিজদের আগমন-বার্তা। এই খানেই গঙ্গায় বন্দর গড়ে তুলেছিল পর্তুগিজরা। এ দেশে ইংরেজ আসার অনেক আগে। তারা বলত বান্দর, সেখান থেকে নাম হয়ে গেল ব্যান্ডেল। মাস্তুলকে পর্তুগিজ ভাষায় ব্যান্ডেল বলা হয়। সেই থেকেই এই গির্জার নাম ব্যান্ডেল।

নামের কথা ছেড়ে দাও। নামে কী আসে যায়! ব্যান্ডেল নামটা শুনলেই মনে পড়ে যায় চড়ুইভাতির কথা। চড়ুইভাতির আদর্শ জায়গা এই ব্যান্ডেল। কিংবা চড়ুইভাতি থাক, খাবারদাবার না হয় প্যাক করে নাও, চলো ব্যান্ডেল। সারা দিন ছুটি কাটানোর এক মনোরম জায়গা। কারণ এই জায়গার প্রধান আকর্ষণ ব্যান্ডেল চার্চ

১৫৩৭-এ বাংলার নবাবকে সাহায্যের বিনিময়ে কারখানা (বাণিজ্য সংক্রান্ত কাজ কারবার চালানোর জায়গা) গড়ার অনুমতি পান পর্তুগিজ অ্যাডমিরাল সাম্পাইও। গড়ে ওঠে পর্তুগিজ কলোনিও। ১৫৭৯-তে হুগলি নদীতটে বন্দরেরও পত্তন করে পর্তুগিজরা। আর ১৫৯৯-তে তারা গড়ে তলে রোমান ক্যাথলিক চার্চ। দীর্ঘ অবরোধের পর শাজাহানের দখলে যেতে রয়্যাল বন্দর গড়ে ওঠে হুগলিতে। সেটা ১৬৩২। তার পরের বছর আবার ফেরে পর্তুগিজরা। শাজাহানের হাতে ধ্বংস হওয়া চার্চ নতুন করে গড়ে ওঠে ১৬৪০-এ। বাংলার মাটিতে সুন্দর কারুকার্যমণ্ডিত প্রাচীনতম চার্চ এই ব্যান্ডেল চার্চ। সম্মুখ ভাগ গ্রিসের ডোরিক স্থাপত্যে গড়া। ভিতরে যিশুর আখ্যান মূর্ত হয়েছে অসংখ্য চিত্রে। মাতা মেরির আবির্ভাব স্থানে ১৮৫৮-য় তৈরি হয়েছে গুহা। ১৯৮৮-তে ব্যাসিলিকার শিরোপা পেয়ে মর্যাদা বেড়েছে ব্যান্ডেল চার্চের।

গির্জা উদ্বোধনের উদযাপন যখন চলছে, তখন একটি বিপর্যস্ত পর্তুগিজ জাহাজের পাল চোখে পড়ে সবার। জনা যায়, কিছু দিন আগেই জাহাজটি প্রবল ঝড়ের মুখে পড়েছিল। ভাগ্যক্রমে নাবিকরা জীবিত রয়েছে। ঝড়ের সময় জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি প্রথম যে গির্জাটিকে দেখবেন, সেখানে জাহাজের প্রধান মাস্তুলটি দান করবেন। ক্যাপ্টেন তার সে কথা রেখেছিলেন। সেই মাস্তুলটি এখনও গির্জা প্রাঙ্গণে রাখা আছে।

হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল ট্রেনে এক ঘণ্টার পথ। ব্যান্ডেলের সঙ্গে ঘুরে নিতে পারো হুগলির ইমামবাড়া, চার্চ থেকে ২ কিমি, দানবীর হাজী মহম্মদ মহসিনের তৈরি। মার্বেল খচিত, কোরানের আয়াতে দেওয়াল অলঙ্কৃত। এখানকার সূর্যঘড়ি ও টাওয়ার ক্লক দেখার। ব্যান্ডেল স্টেশনের কাছেই কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের স্মৃতিধন্য দেবানন্দপুর। এক যাত্রায় পৃথক ফল না-ই বা করলে!

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/23/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate