হাতে হঠাৎই দিন দুই ছুটি। কলকাতার অদূরেই কোথাও গিয়ে একটু নির্ভেজাল বিশ্রামের মেজাজে থাকতে চাও ? চলে যেতে পারো হেনরি আইল্যান্ড। বকখালি থেকে চার কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি সম্প্রতি কিছুটা জনপ্রিয় হলেও এখনও অধিকাংশ মানুষের চোখের আড়ালেই রয়েছে। মৎস্য দফতরের একটি রিসর্ট ছাড়া থাকার অন্য কোনও জায়গা না থাকায় জায়গাটি এখনও নিরুপদ্রব।
ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে ঘেরা, মাছচাষের কয়েকটা ভেড়ি, গুটিকতক কটেজ এবং একটা বাড়ি, পিছনে ৫০০ মিটার দূরেই নির্জন সমুদ্রতট। এই হল হেনরি আইল্যান্ড। হোটেলের ছাদের ওয়াচ টাওয়ার থেকেই সমুদ্র এবং সুদূর বিস্তৃত অরণ্য দেখা যায়। এক কথায় অসাধারণ। নির্জন সমুদ্রের ধারে এবং ওয়াচ টাওয়ারে বসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়। পিকচার পোস্টকার্ডের মতো অসাধারণ সব ফ্রেম চোখের সামনে সাজানো রয়েছে। ছবি তুলতে যারা ভালোবাস, তাদের কাছে দৃশ্যগুলি লোভনীয়। ভেড়ির টাটকা মাছ খেয়ে এবং বিশ্রাম নিয়ে দু’টো দিন কাটিয়ে দাও। বুকে বাড়তি অক্সিজেন পাবে। এই রিসর্টের কিচেনে এখনও শিলনোড়ার মশলা বাটা চালু আছে। গুঁড়ো মশলার ব্যবহার শুরু হয়নি।
এসপ্ল্যানেড থেকে প্রত্যেক দিন সকাল ৭টা এবং ৮টায় বকখালির বাস ছাড়ে। সাধারণত জায়গা পাওয়া যায়। ঘণ্টাচারেকে পৌঁছে যাবে জেটিঘাট। সেখান থেকে ভ্যান রিক্সায় হেনরি আইল্যান্ড। বাসে আসার সময় হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী পেরনোও একটা অভিজ্ঞতা। বার্জে করে গাড়ি, বাস সমস্ত কিছু পার করানো হয়।
সল্টলেকের বিকাশ ভবনের মৎস্য দফতরের অফিস থেকে ঘর বুক করতে হবে। দু’টি হোটেল আছে। সুন্দরী এবং ম্যানগ্রোভ। সুন্দরীতেই বুকিং করানো উচিত। কারণ, সেটাই সমুদ্রের কাছে। যদি হাতে একটা দিন বেশি থাকে, তাহলে দুদিন হেনরি আইল্যান্ডে থাকার ফাঁকে ঘুরে আসা যেতে পারে বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ থেকেও।
সতর্কীকরণ: এক, এখানে সমুদ্রে নামা বারণ। দুই, আশেপাশে দোকানপাট নেই। বাকি পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি জায়গায় থাকতে পারবে তুমি।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/23/2020