অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ

বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ

কলকাতা থেকে ১৩০ কিমি দূরে পাশাপাশি দুই সমুদ্রসৈকত বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জ। বাসস্ট্যান্ড থেকে হাঁটা দূরত্বে ঝাউবীথিকার সবুজ পেরিয়ে সমুদ্রসৈকত। সমুদ্রে জাল ফেলে বাগদা চিংড়ির মীন ধরে জেলেরা। সমুদ্রের ধারে রয়েছে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তৈরি পর পর বসার জায়গা। নীল সমুদ্রে অপরূপ সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত আর জ্যোৎস্না রাত। বাসস্ট্যান্ডের পিছনে সাঁকো পেরিয়ে বনবিভাগের এলাকায় রয়েছে কুমীর প্রকল্প, কচ্ছপ প্রকল্প আর ডিয়ার পার্ক। বকখালি থেকে ভ্যানরিকশা ভাড়া করে বেড়িয়ে আসা যায় নামখানা-বকখালি পথে পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য উন্নয়ন দফতরের প্রকল্প হেনরি আইল্যান্ড থেকে। পথের দু’ধারে বাংলার গ্রামের চেনা চিত্র। পথে বাইশমাথা খেজুরগাছ পেরিয়ে আরও খানিক এগিয়ে একের পর এক মাছের ভেড়ি। মোট ১৬২টি ভেড়ি আছে। ফিশারিজ-এর বাংলোর পাশে জলাশয়ে নৌকাভ্রমণের ব্যবস্থা আছে। বকখালি থেকে ২ কিমি দূরে ফ্রেজারগঞ্জ সৈকত। ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্ড্রু ফ্রেজার গড়ে তুলেছিলেন এই সৈকতাবাস। তাঁর নামানুসারেই পূর্বতন নারায়ণতলার নতুন নামকরণ হয়। ফ্রেজারের বাংলোটি সমুদ্রের গর্ভে হারিয়ে গেলেও সাহেবি আমলের বাংলোর ধ্বংসাবশেষগুলো আজও অতীতের স্মৃতি বহন করে। ফ্রেজারগঞ্জে রয়েছে বেনফিশের হারবার। হারবারে সার দিয়ে মাছ ধরার নৌকোগুলো দূরযাত্রার প্রস্তুতি নেয়। এখান থেকে নৌকো ভাড়া করে ঘুরে আসা যায় বঙ্গোপসাগরের বুকে জম্বু দ্বীপ থেকে। নিকটতম বড় শহর কলকাতা। রেল স্টেশন নামখানা। কলকাতার ধর্মতলা থেকে ভূতল পরিবহনের বাসে সরাসরি বকখালি পৌঁছনো যায়। নামখানায় ওই বাস জলযানে চেপে পেরিয়ে যায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী। বাসে বা ট্রেনে নামখানা পৌঁছে সেখান থেকে নদী পেরিয়ে, ওপার থেকে বাস ধরেও পৌঁছনো যায় ২৫ কিমি দূরে বকখালিতে। কলকাতা থেকে ধর্মতলা-নামখানা রুটে অনেক সরকারি ও বেসরকারি বাস যায়। আর শিয়ালদহ থেকে ট্রেন যাচ্ছে কাকদ্বীপ হয়ে নামখানা। কলকাতা থেকে ফ্রেজারগঞ্জের দূরত্ব ১৩২ কিমি। ১০৫ কিমি দূরে নামখানায় পৌঁছেও হাতানিয়া-দোয়ানিয়া পেরিয়ে বাসে বা ট্রেকারে ২৭ কিমি দূরে ফ্রেজারগঞ্জে পৌঁছানো যায়। বকখালিতে থেকে ঘুরে নেওয়া যায় ফ্রেজারগঞ্জ।

বকখালিতে সমুদ্রের কাছেই রাজ্য পর্যটনের ট্যুরিস্ট লজ ও বেশ কয়েকটি হোটেল আছে। বাসস্ট্যান্ডের কাছে বন দফতরের রেস্টহাউস। ফ্রেজারগঞ্জে বেনফিশের সাগরকন্যা গেস্টহাউস ও সাগরী কটেজ।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/28/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate